মুকুলের থাবা দিলীপের আধিপত্যে! একুশের আগে নম্বর বাড়িয়ে নিলেন বাংলার ‘চাণক্য’
এতদিনে বিজেপিতে যোগ্য সম্মান পেলেন মুকুল রায়। যা চেয়েছিলেন, তেমনটাই পেলেন। এবার আর কোনও মত জাহির করতে হলে তাঁকে কারও মুখাপেক্ষী থাকতে হবে না।
এতদিনে বিজেপিতে যোগ্য সম্মান পেলেন মুকুল রায়। যা চেয়েছিলেন, তেমনটাই পেলেন। এবার আর কোনও মত জাহির করতে হলে তাঁকে কারও মুখাপেক্ষী থাকতে হবে না। কারণ তিনি এখন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি। পদাধিকারী হিসেবে তিনি রাজ্য সভাপতির উঁচুতে। তবে কি বঙ্গ বিজেপিতে মুকুল রায়ের কাছে ধাক্কা খাবে দিলীপ ঘোষের 'আধিপত্য'! প্রশ্ন কিন্তু উঠে পড়েছে এখনই।
বাংলায় রাজনীতি করতে জবাবদিহি করতে হবে না মুকুলকে
দীর্ঘ তিন বছর বিজেপিতে পদহীন ছিলেন মুকুল রায়। এতদিন পর ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পর তিনি পদ পেলেন। এতদিন যে পদ পেতে চেয়েছিলেন তেমনই এক পদ পেলেন তিনি, যাতে তাঁকে আর কারও কাছে জবাবদিহি করতে হবে না বাংলায় রাজনীতি করতে।
দিলীপ ঘোষের আধিপত্য খানিক ধাক্কা খেতে বাধ্য
স্বভাবতই মুকুল রায় গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়ে খুশি। সেই খুশি ব্যক্ত করলেন নিজেও। বললেন, দল যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা প্রতি পদক্ষেপে পালন করাই এখন তাঁর লক্ষ্য। তাঁর অনুগামীদের মত, এতদিন পর মুকুল রায় যে পদ পেয়েছেন তাতে দিলীপ ঘোষের আধিপত্য খানিক ধাক্কা খেতে বাধ্য।
একুশের আগে মুকুল রায়ের গুরুত্ব বাড়ল বাংলায়
শনিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জয়প্রকাশ নাড্ডা যে তালিকা প্রকাশ করেছেন, সেই তালিকা অনুযায়ী বিজেপির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি হচ্ছেন মুকুল রায়। মুকুল ছাড়াও মুকুল ঘনিষ্ঠ অনুপম হাজরাকে কেন্দ্রীয় বিজেপির সম্পাদক করা হয়েছে। রাজু সিং বিস্ত হয়েছেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র। এই ঘোষণায় স্পষ্ট মুকুল রায়ের গুরুত্ব কতটা বাড়ল বাংলায়।
মুকুলকে বিজেপির উপহার কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতির পদ
২০১৭ সালের নভেম্বরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মুকুল রায়। তারপর কেটে গিয়েছে প্রায় তিন বছর। কোনও পদ পাননি। দুটো নির্বাচনে নেতৃত্ব দিয়ে বিজেপিকে আশাতীত সাফল্য এনে দিয়েছেন। তারপরও উপহার জোটেনি। এতদিন ২০২১-এর আগে তাঁকে সুদে-আসলে বিজেপি পুষিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতির পদ দিয়ে।
মুকুল নিশ্চিন্তে পাখির চোখ করতে পারবে বাংলার নির্বাচনকে
বিজেপিতে যোগ দিয়ে দিলীপ ঘোষকে ক্যাপ্টেন বলে অভিহিত করলেও সম্প্রতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে মুকুল রায় খানিক অস্বস্তিতে ছিলেন। তিনি এমন এক পদ চাইছিলেন যাতে তাঁকে রাজ্যের কারও অধীনে কাজ না করতে হয়। তেমন পদই পেলেন। এবার তিনি নিশ্চিন্তে পাখির চোখ করতে পারবে বাংলার নির্বাচনকে।
যোগ্য সম্মান পেতে মুকুলের সময় লাগল তিন বছর
মুকুল ঘনিষ্ঠদের অভিযোগ ছিল, মুকুল রায়ের যোগ্য নেতৃত্বে বিজেপি ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ২ থেকে বেড়ে ১৮ হয়েছে। তারপরও কেন যোগ্য সম্মান পাবেন না মুকুল রায়। সেই সম্মান পেতে মুকুলের সময় লাগল তিন বছর। এরপর তিনি কড়া হাতে তৃণমূলের দমন করতে পারবেন। আর অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে না বিজেপিতে তাঁর অবস্থান।
মুকুলের সুদিনে বাংলার বিজেপিতে অশান্তির বীজ
২০২১-এর বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই আশাহত হচ্ছিলেন বিজেপির মুকুল-অনুগামীরা। তাঁরা ক্ষোভ উগরে দিচ্ছিলেন মাঝেমধ্যেই। অবশেষে মুকুলের পদপ্রাপ্তিতে সেই জটিলতার সমাপ্তি ঘটল। তবে দিলীপ ঘোষের আধিপত্যে খানিক ভাগ বসল। আর পদ হারিয়ে বিদ্রোহী হয়ে উঠলেন রাহুল সিনহা।