মদের টাকা ঢোকে মমতা আর অভিষেকের ঘরে! পথে আটকে বিস্ফোরক মুকুল-কৈলাশ
এবার কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায় পড়লেন বিক্ষোভের মুখে। নদিয়ার শান্তিপুরে বিষমদ পান করে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তাঁরা বিক্ষোভের মুখে পড়েন।
এবার কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায় পড়লেন বিক্ষোভের মুখে। নদিয়ার শান্তিপুরে বিষমদ পান করে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তাঁরা বিক্ষোভের মুখে পড়েন। অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকরা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। বিজেপির প্রতিনিধি দলের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে পথ আটাকানো হয় বলে অভিযোগ।
গো-ব্যাক স্লোগান
শান্তিপুরে বিজেপির প্রতিনিধি দল ঢোকার পরই ওঠে গো-ব্যাক স্লোগান। মুকুল-কৈলাশদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি শান্তিপুরের গ্রামে। বাধ্য হয়ে সেখানে থেকেই বিজেপির রাজ্য পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় তোপ দাগতে শুরু করেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মুকুল রায়ও নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোকে।
মমতা-অভিষেকে তোপ
এদিন শান্তিপুরে তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে পড়ে কৈলাশ ও মুকুল উভয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, সরকারি মদ বিক্রির টাকা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। আর বেআইনি মদ বিক্রির টাকা যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তাই শান্তিপুরে বিষমদে মৃত্যুর দায় নিতে হবে তাঁদেরই।
বিষমদে ক্ষতিপূরণ
এদিন সকালে পরিষদয়ী মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিষমদে মৃতদের পরিবারের হাতে অনুদান তুলে দেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছিল মৃতদের পরিবারের জন্য। সেই ঘোষণামতো এদিন ১০টি পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে চেক তুলে দেওয়া হয়।
পথে আটক তোপ
এরপরই বিজেপির তরফে শান্তিপুর অভিযান করেন মুকুল রায় ও কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। অভিযোগ, বিজেপির প্রতিনিধিদলকে আটকাতে বিভিন্ন জায়গায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। যদিও সেই সমস্ত বাধা পেরিয়ে শান্তিপুর পৌঁছে যান। আর সেখানে গ্রামে ঢোকার মুখে প্রতিবাদের মুখে পড়ে কৈলাশ ও মুকুল। সেখান থেকেই তাঁরা গর্জে ওঠেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের পিঠের বোঝা কমাতে স্কুলে স্কুলে অভিনব উদ্যোগ রাজ্যের ]