মুকুল অনুগামীরা 'দিকভ্রান্ত' বিজেপিতে! তৃণমূলে ‘ঘরওয়াপসি’র সম্ভাবনা দৃঢ় হচ্ছে ক্রমেই
মুকুল অনুগামীরা দিকভ্রান্ত বিজেপিতে! তৃণমূলে ‘ঘরওয়াপসি’র সম্ভাবনা ক্রমেই দৃঢ় হচ্ছে
মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর পদ্ম শিবিরে জোয়ার এসেছে তাতে কোনও দ্বিমত নেই। কেননা তিনি পদ্মশিবিরে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূলে তাঁর ঘনিষ্ঠ অনেক নেতাই বিজেপিতে যোগদান করেছেন। তার সুফলও লাভ করেছে বিজেপি। কিন্তু তাঁরা বিজেপিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ায় অনেকেই পুরনো দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে অভিযোগ।
বিজেপির অন্দরে জল্পনার জাল বোনা শুরু
সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য সভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত বিজেপিতে ‘খরবুজ' নেতা রয়েছেন বলে একটি টুইট করেন। তারপরই বিজেপির অন্দরে জল্পনার জাল বোনা শুরু হয়। আর এই জল্পনার তালিকায় যে তৃণমূল ত্যাগী বিজেপি নেতাদের নামই রয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বিজেপিতে গিয়ে অনেকেই নিষ্ক্রিয়
তৃণমূল ছেড়ে মুকুল রায়ের হাতে ধরে বিজেপিতে গিয়ে অনেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছেন। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, ইদানিং দলের সভাতেও যাচ্ছি না। দল সেভাবে গুরুত্বই দিচ্ছে না। তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। কোনওরকম রাখঢাক করেননি তিনি।
তৃণমূল ফিরলেও সম্মানজনক পদ চাই
তিনি জানিয়েই দিয়েছেন, তৃণমূল ফিরলেও সম্মানজনক পদ চাই। তা না হলে তৃণমূলে ফিরব না। বিজেপিতে সম্মান পাইনি, প্রথমে যোগদানের পর অনের স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল। সেসবের বিসর্জন হয়ে গিয়েছে। এখন দল মনেই করে না তাঁদেরকে। দলীয় সভাতেও আমন্ত্রণ পাননি তাঁরা। তাই বিকল্প ভাবনা ভাবতেই হচ্ছে।
বিজেপি অনেকটা ব্যাকফুটে
সামনেই পুরসভা নির্বাচন। করোনা লকডাউনের জন্য শুধু পিছিয়ে গিয়েছে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। এই অবস্থায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতারা যদি বেঁকে বসেন তাহলে গেরুয়া শিবিরই বিপাকে পড়ে যাবে পুরসভা নির্বাচনে। বিজেপি অনেকটা ব্যাকফুটে চলে যাবে।
তৃণমূলত্যাগী নেতারাও প্রমাদ গুণছেন
আর উল্টোদিকে বিজেপিতে কোণঠাসা তৃণমূলত্যাগী নেতারাও প্রমাদ গুণছেন, তাঁদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে তাঁদের কেরিয়ারে যে ছেদ পড়ে গিয়েছে, তা অনেকেই মনে করছেন। আবার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে তাঁদের ভাবতে হচ্ছে। ভাবতে হচ্ছে বিজেপিতে থেকে কী লাভ হবে তাঁদের? আর তৃণমূলে ফিরলেই বা কী হবে?
কোথায় যাবেন তাঁরা, ভাবছেন এবার
যাঁর হাত ধরে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন তৃণমূল নেতারা, সেই মুকুল রায় আড়াই বছরে বিজেপিতে জাতীয় কর্ম সমিতির পদ ছাড়া কিছুই পাননি। তাঁর হতে ধরে অনেকে বিজেপি যোগ দিয়েই সাংসদ, বিধায়ক হয়েছেন ঠিকই, অনেকে আবার কিছুই পাননি। দলে তাঁদের গুরুত্বও প্রায় নেই। তাঁরাই প্রমাদ গুণছেন কী করবেন, কোথায় যাবেন।
মুকুল অনুগামীদের কী হবে
মুকুল রায় পদ না পেলেও তাঁকে বিজেপি সমীইই করে। সেইজন্য তাঁর উপরই নির্বাচনের দায়িত্ব বর্তেছে আবার। পঞ্চায়েত, লোকসভা নির্বাচনের পর আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে রাজ্যে তাঁকেই নির্বাচন কমিটির মাথায় রাখা হয়েছ। মুকলের মতো ভোট কৌশলীকে যে কোনও দলই গুরুত্ব দেবে। কিন্তু তাঁর অনুগামীদের কী হবে, সেটাই প্রশ্ন।
ঘরওয়াপসির ভাবনা পেয়ে বসেছে
এই পরিস্থিতিতেই তাঁদের ফের ঘরওয়াপসির ভাবনা পেয়ে বসেছে। তাঁরা পুর নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে নামতে ততটা ইচ্ছুক নন। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরনো নেতাদের দল গুরুত্ব দেবে বলে ঘোষণার পর তাঁদের অনেকেই বুকে বল খুঁজে পেয়েছেন। ফলে তাঁরা ভাবতে শুরু করেছেন বিজেপি-ত্যাগের কথা।
'ফের শুরু হবে কাজ, থেকে যান', পরিযায়ী শ্রমিকদের আবেদন জানিয়ে ট্রেন বাতিল কর্নাটকে