মঙ্গলবার সন্ধেয় চাঁদের হাট, বাণিজ্য সম্মেলনে থাকবেন আম্বানি, মিত্তলরাও
চতুর্থ বর্ষে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। এবারের সম্মেলনে নটি সহযোগী দেশ-সহ কমপক্ষে ৩০ টি দেশ যোগ দিচ্ছে। কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা আগেই উপস্থিত হয়ে স্থানীয় শিল্প মহলের সঙ্গে আলোচনা সেরে নিয়েছেন।
চতুর্থ বর্ষে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। এবারের সম্মেলনে নটি সহযোগী দেশ-সহ কমপক্ষে ৩০ টি দেশ যোগ দিচ্ছে। কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা আগেই উপস্থিত হয়ে স্থানীয় শিল্প মহলের সঙ্গে আলোচনা সেরে নিয়েছেন।
এবারের বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন ১৬ ও ১৭-ই জানুয়ারি। কিন্তু একদিন আগেই শহরে হাজির তাবড় শিল্পপতিরা। সোমবার সন্ধে সওয়া অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে সঙ্গে নিয়ে ৭ টা নাগাদ ইকো পার্কে আয়োজিত নৈশ ভোজে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে আগে থেকেই ছিলেন, ফিরহাদ হাকিম, ইন্দ্রনীল সেন, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, সুখেন্দুশেখর রায়, সৌগত রায়-সহ রাজ্যের নেতা ও মন্ত্রীরা। হাজির ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব-সহ প্রশাসনিক কর্তারাও। সেখানে হাজির ছিলেন সজ্জন জিন্দল, পার্থ জিন্দল, স্পাইস জেটের অজয় সিং, আদানি গোষ্ঠীর ৫ কর্তা। মুখ্যমন্ত্রী সবার সঙ্গেই টেবিলে টেবিলে ঘুরে পরিচয় করেন। মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে বিদেশি অতিথিদের ফটো তোলার উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। নৈশ ভোজে হাজির ছিলেন চেক রাষ্ট্রদূত এবং আফ্রিকার গ্যাবনের রাষ্ট্রদূতও।
বিদেশি রাষ্ট্রদূত কিংবা প্রতিনিধিদের একই কথা, মুখ্যমন্ত্রীর ব্যবহার তাঁদের আপ্লুত করেছে। তাঁরা জানান, পশ্চিমবঙ্গ এমন একটি রাজ্য যেখানে শিল্প-সম্ভাবনা বিনিয়োগের পথ তৈরি করেছে।
মঙ্গলবার সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে শিল্পপতি লক্ষ্মী মিত্তলের। মাসখানেকের বেশি আগে কলকাতায় এসে সম্মেলনে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছিলেন লক্ষ্মী মিত্তল। জানা গিয়েছে রিলায়েন্স কর্ণধার মুকেশ আম্বানিও আসছেন। এছাড়াও সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, হর্ষ নেওটিয়া, প্রসূন মুখোপাধ্যায়, পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়, কিশোর বিয়ানি, আদি গোদরেজ, মোহনদাস পাইও যোগ দেবেন বলে জানা গিয়েছে।
শিল্প সম্মেলনে যে পাঁচটি ৫ টি ফোকাস সেক্টর রয়েছে, সেগুলি হল শিল্প পরিকাঠামো, উৎপাদনমুখী ক্লাস্টার, নগরোন্নয়ন, তথ্যপ্রযুক্তি ও পরিষেবা এবং পরিবহণ।
২০১৫ কিংবা ২০১৬ সালে কেন্দ্রের তরফে মন্ত্রীরা হাজির ছিলেন। ২০১৫ সালে এসেছিলেন অরুণ জেটলি, নীতীন গড়কড়ি। ২০১৬ সালে এসেছিলেন পীষূষ গোয়েল এবং সুরেশ প্রভু। ২০১৭-তে কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী না থাকলেও এসেছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়।
এবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, নীতীন গড়কড়ি এবং সুরেশ প্রভুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। গড়কড়ি আসবেন বলে কথা দিলেও, শুক্রবার কলকাতায় তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষের জেরে সফর বাতিলের কথা ঘোষণা করেন তিনি।