নেতাজি সংক্রান্ত ঐতিহাসিক দলিল প্রকাশ্যে আনার দাবি, আইনি লড়াইয়ে নামছে তৃণমূল
নেতাজিকে নিয়ে এবার আইনি লড়াইয়ে নামতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অপ্রকাশিত নথি অবিলম্বে প্রকাশ করতে এবার মামলা করতে চান তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়।
কলকাতা, ২৪ জানুয়ারি : নেতাজিকে নিয়ে এবার আইনি লড়াইয়ে নামতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যে নথি আজও প্রকাশ্যে আসেনি, সেই নথি অবিলম্বে প্রকাশ করতে এবার মামলা করতে চলেছেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। নেতাজির ১২১ তম জন্মজয়ন্তীতে নিজেই জানিয়েছেন এই কথা।[নেতাজির গিদ্দা পাহাড়ের বাড়ি সংস্কারের উদ্যোগ মুখ্যমন্ত্রীর, পর্যটন প্রসারের ভাবনা]
তাঁর প্রশ্ন, কেন এতদিন ধরে ফাইলবন্দি থাকবেন নেতাজি? কেন নেতাজির ইতিহাস যুব সমাজের সামনে আনা হবে না? নেতাজি সংক্রান্ত গবেষণার নথি আজও ফাইলবন্দি হয়ে রয়েছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পঞ্চাশের দশকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ইতিহাস বিভাগ ঠিক করে, আজাদ হিন্দ ফৌজের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় নিয়ে একটা দলিল তৈরি করতে হবে।[পাহাড়কে বাদ দিয়ে বাংলা সম্পূর্ণ নয়, নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে পাহাড়ে অখণ্ডতার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর]
সেইমতোই ইতিহাসবিদ প্রতুল গুপ্তর নেতৃত্বে গবেষণার কাজ শুরু হয়। ইতিহাসবিদরা প্রায় আড়াইশো ব্রিটিশ নথি ঘেঁটে তৈরি করে ফেলেন ঐতিহাসিক দলিল। কিন্তু ঐতিহাসিকদের অত খাটুনির পরও সেই দলিল প্রকাশ করা হয়নি। সেই দলিলই এবার সামনে আনেত বদ্ধপরিকর তৃণমূল সাংসদ।[বিমান দুর্ঘটনার পর নেতাজির বেঁচে থাকার নতুন প্রমাণ সামনে এল!]
২০১০ সালে একবার ওই দলিল প্রকাশ্যে আনার দাবি ওঠে। তথ্য জানার অধিকার আইনে জানতে চান এক নেতাজি গবেষক। এই আবেদনে প্রেক্ষিতে আরটিআই কমিশন কেন্দ্রীয় সরকারকে নথি প্রকাশের নির্দেশ দেয়। বই আকারে ওই দলিল প্রকাশ করার দাবিও ওঠে। কিন্তু এই দাবির বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করে। আদালত কমিশনের নির্দেশই বহাল রাখে।[নেতাজিকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল]
তবু কেন আজও প্রকাশ্যে আনা হল না দলিল? এবার সেই দাবিই উত্থাপন করলেন সুখেন্দুশেখর। ইতিমধ্যে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে সাংসদের দাবি, সব তথ্য জানিয়ে ওই দলিল প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু তারপর অনেক দিন কেটে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নীরব। প্রধানমন্ত্রীর দফতরও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
তাই এবার আইনি লড়াইয়ে নামতে চাইছেন তিনি। বিদেশ মন্ত্রকের একটি নোটই এখন হাতিয়ার সুখেন্দুশেখরের। ২০১১ সালে বিদেশ মন্ত্রককে চিঠি দেয় প্রতিরক্ষামন্ত্রক। প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানতে চেয়েছিল, নেতাজি নথি সামনে এলে কোনও দেশের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হতে পারে কি না? বিদশমন্ত্রক জানায় এমন কোনও সম্ভাবনা নেই।
উল্লেখ্য, এই নথির ১৮৬ পাতা থেকে ১৯১ পাতায় বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যুর খবর খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। নেতাজি জীবিত অবস্থায় কোথাও চলে গিয়েছেন।