তৃণমূলকে মেরে চামড়া গুটিয়ে দেব! জ্বালিয়ে দেব পুলিশের গাড়িও, হুঙ্কার সৌমিত্র খাঁর
তৃণমূলকে মেরে চামড়া গুটিয়ে দেবে বিজেপি! পুলিশের গাড়িও জ্বালিয়ে দেওয়ার হুঙ্কার সৌমিত্রর
কু-কথায় বাধ মানছে না বিজেপি। উপর থেকে নিচুতলার নেতারা কু-কথায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠেছেন। আবারও সেই কু-কথার নায়ক হয়ে উঠলেন বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ। তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়ে সাংসদ হয়েছেন। আর সেই তিনিই এবার নিশানা করলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসকে।
সৌমিত্রের তোপে মমতা-তৃণমূল
বুদ্ধিজীবীদের নোংরা ভাষায় আক্রমণ করে তীব্র নিন্দার মুখে পড়েছিলেন সৌমিত্র খাঁ। এবার খোদ মমতাকে বললেন কালনাগিনী। এরপরই তাঁর হুমকি, তৃণমূলকে মেরে চামড়া গুটিয়ে দেবে বিজেপি। আর পুলিশ যদি তৃণমূলকে সমর্থন করে তবে পুলিশের গাড়িও জ্বালিয়ে দিতে তৈরি তারা।
মেরে চামড়া গুটিয়ে দিতে প্রস্তুত
সিএএ-র সমর্থনে বাঁকুড়া পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার চালাতে গিয়েছিলেন বিজেপির দুই সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ও সুভাষ সরকার। সেখানেই লাগাম ছাড়ালেন সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস যদি মনে করে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো ভোট করবে, তবে বিজেপি তাদের মেরে চামড়া গুটিয়ে দিতে প্রস্তুত আছে। পুলিশের গাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার কালনাগিনী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানায় সৌমিত্র খাঁ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার কালনাগিনী। মুখ্যমন্ত্রী যাঁকে ধরে তিনিই মারা যান। তেমনই বাংলায় ক্ষমতায় আসার পরই বাংলার অবস্থা শেষ করে দিচ্ছেন। বাংলার বেহাল অবস্থা। সিঙ্গুরে গিয়েছেন, সিঙ্গুর শেষ। নন্দীগ্রামে গিয়েছেন, ১৪ জন খুন হয়েছেন। বাঁকুড়াকেও তিনি শেষ করে ছেড়েছেন। তাই তাঁকে কালনাগিনী ছাড়া আর কী-ই বা বলা যায়।
বুদ্ধিজীবীদের নিশানা, কুকুর কটাক্ষ
এর আগে বসিরহাটে সিএএ-র সমর্থনে সভা করতে গিয়ে সৌমিত্র খাঁ বলেন, তাঁরা নিজেদের বুদ্ধিজীবী বলে রাস্তায় নামছেন, তাঁরা আদতে বুদ্ধিজীবী নন। তাঁদের বলছি, আপনারা শয়তান। বুদ্ধিজীবীরা রাজ্য সরকারের টাকা নিয়মিত পান বলেই তৃণমূলে সমর্থন করেন। আর যাঁরা পার্কস্ট্রিট কাণ্ডের সময় চুপ থাকেন, তাঁরা কুকুর ছাড়া আর কিছু নয়।