মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার কালনাগিনী! এখন প্রাক্তন নেত্রীকেও ছাড়ছেন না মুকুল ঘনিষ্ঠ সাংসদ
মমতা বাংলার কালনাগিনী! মুকুল ঘনিষ্ঠ সাংসদ এখন প্রাক্তন নেত্রীকেও ছাড়ছেন না
২০১৯-এর আগে পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ছিলেন তাঁর নয়নের মণি। দিদি জ্ঞান, দিদি ধ্যান ছিলেন তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের। তারপর বিজেপিতে যোগ দিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। বদলে নিয়েছেন নিজের রূপ। তাঁর মুখের ভাষাও বদলে গিয়েছে। তাই রেয়াত করছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।
মমতাকে নিশানা সৌমিত্রর
হালে কু-কথা বিজেপির সর্বক্ষণের সঙ্গী হয়ে গিয়েছে। ক-দিন আগে সৌমিত্র খাঁ বুদ্ধিজীবীদের কুকুর বলে সম্বোধন করেছিলেন। এবার একদা তাঁর নেত্রীকে নিশানা করে বর্তমানে বিজেপির সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন কালনাগিনী। সেইসঙ্গে তৃণমূলকে মেরে চামড়া গোটানো ও পুলিশের গাড়িও জ্বালিয়ে দেওয়ার হুঁঙ্কার ছাড়েন তিনি।
মমতা বাংলার কালনাগিনী!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানায় সৌমিত্র খাঁ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যাঁকে ধরেন তিনিই মারা যান। তেমনই বাংলায় ক্ষমতায় আসার পরই বাংলার অবস্থা শেষ করে দিচ্ছেন মমতা। বাংলার বেহাল অবস্থা করে ছেড়েছেন। সিঙ্গুরে গিয়েছেন, সিঙ্গুর শেষ। নন্দীগ্রামে গিয়েছেন, ১৪ জন খুন হয়েছেন। বাঁকুড়াকেও তিনি শেষ করে ছেড়েছেন। তাই তাঁকে কালনাগিনী ছাড়া আর কী-ই বা বলা যায়।
তৃণমূলের চামড়া গুটিয়ে দেবে বিজেপি
সিএএ-র সমর্থনে বাঁকুড়া পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার চালাতে গিয়েছিলেন বিজেপির দুই সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ও সুভাষ সরকার। সেখানেই লাগাম ছাড়ালেন সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস যদি মনে করে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো ভোট করবে, তবে বিজেপি তাদের মেরে চামড়া গুটিয়ে দিতে প্রস্তুত আছে। পুলিশের গাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হবে।
বুদ্ধিজীবীদের নিশানা, কুকুর কটাক্ষ
এর আগে বসিরহাটে সিএএ-র সমর্থনে সভা করতে গিয়ে সৌমিত্র খাঁ বলেন, তাঁরা নিজেদের বুদ্ধিজীবী বলে রাস্তায় নামছেন, তাঁরা আদতে বুদ্ধিজীবী নন। তাঁদের বলছি, আপনারা শয়তান। বুদ্ধিজীবীরা রাজ্য সরকারের টাকা নিয়মিত পান বলেই তৃণমূলে সমর্থন করেন। আর যাঁরা পার্কস্ট্রিট কাণ্ডের সময় চুপ থাকেন, তাঁরা কুকুর ছাড়া আর কিছু নয়।