তৃণমূলের ১২ মন্ত্রীর যোগাযোগ বিজেপির সঙ্গে! পুরনো দলে ভাঙন ধরিয়ে বার্তা সৌমিত্রর
বিজেপিতে যুব মোর্চার দায়িত্ব নিয়েই নিজের জেলায় দলের শক্তি বাড়ালেন সৌমিত্র খাঁ। শুধু তৃণমূলের ঘর ভেঙেই তিনি ক্ষান্ত থাকেননি, তৃণমূলের ‘যুবরাজ’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একহাত নিয়েছে।
বিজেপিতে যুব মোর্চার দায়িত্ব নিয়েই নিজের জেলায় দলের শক্তি বাড়ালেন সৌমিত্র খাঁ। শুধু তৃণমূলের ঘর ভেঙেই তিনি ক্ষান্ত থাকেননি, তৃণমূলের 'যুবরাজ' অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একহাত নিয়েছে। একইসঙ্গে বার্তা দিয়েছেন আরও বড় ভাঙনের। যোগদান পর্বের শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান ১২ জন মন্ত্রী বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
বিজেপির দায়িত্ব নিয়েই হাওড়া তৃণমূল কংগ্রেসের যুব শাখায় ভাঙন ধরিয়েছিলেন তিনি। সোমবার তিনি তৃণমূল যুব সংগঠনের ঘর ভাঙেন বাঁকুড়ায়। সেইসঙ্গে অন্য বিরোধী দল কংগ্রেস ও সিপিএম ছেড়েও কর্মীরা যোগ দেন বিজেপিতে। সৌমিত্রর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন প্রায় হাজার খানেক কর্মী। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ তথা যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ।
সৌমিত্র সংসদীয় ক্ষেত্র বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের কোতুলপুর, সোনামুখী, বিষ্ণুপুর বিধানসভা এলাকা থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিলেন। বাঁকুড়া বিজেপির শক্তি বাড়ল এই যোগদানে। একইসঙ্গে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিলেন সৌমিত্র। বিশেষ করে অভিষেকের চাপ বাড়ালেন তিনি।
বিজেপিতে যোগ দিয়েই পুরনো দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কর্মীরা। এই সঙ্কট সময়ে শাসক দলের উপর ভরসা রাখতে না পেরেই তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। সৌমিত্র এই যোগদানের পর বলেছেন, তৃণমূলের দলটাই আর থাকবে না। যুবরাজ আর তাঁর ঘর সামলাতে পারবেন না। একুশের নির্বাচনের আগেই তৃণমূল ফোঁপরা হয়ে যাবে।
সেইসঙ্গে তিনি বলেন, তৃণমূলের ১২ জন মন্ত্রী যোগাযোগ রাখছেন বিজেপির সঙ্গে। যিক সময়ে এলেই তাঁরা দল ছাড়বেন। যোগ দেবেন বিজেপিতে। লোকসভা নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী শ্যামল সাঁতরাকে তৃণমূলের হাফপ্যান্ট মন্ত্রী কটাক্ষ করে বলেন, ওই নেতা তো নিজের বুথেই জিততে পারেন না। ওনার বিধানসভা কেন্দ্র কোতুলপুরের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত তেকে ৯০ জনের নেতৃ্তেব ৭০০ জন বিজেপিতে যোগদান করেছেন।