মালদহে কংগ্রেস শিবিরে অশনি সংকেত, মৌসমের কথায় তুঙ্গে তৃণমূলে যোগ-জল্পনা
খোদ জেলা সভাপতিকে ঘিরে বিপাকে কংগ্রেস। শুধু মুর্শিদাবাদ নয়, আর এক কংগ্রেসি গড় মালদহেও তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে কংগ্রেস শিবিরে।
খোদ জেলা সভাপতিকে ঘিরে বিপাকে কংগ্রেস। শুধু মুর্শিদাবাদ নয়, আর এক কংগ্রেসি গড় মালদহেও তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে কংগ্রেস শিবিরে। রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা, পুরো জেলা কংগ্রেস মিশে যেতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসে। শীঘ্রই তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে মালদহ জেলা নেতৃত্বের বৈঠকও হতে পারে। সবার আগে জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ মৌসম বেনজির নুর যোগ দিতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেসে।
সম্প্রতি এক প্রশ্নের উত্তরে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন গনি পরিবারেরই আর এক সংসদ সদস্য আবু হাসেম খান চৌধুরী। তিনি বলেছিলেন গনি পরিবারের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ ওঠাই অনুচিত। তিনি ক্ষোভ প্রদর্শন করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ-জল্পনা এড়িয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু মালদহের আকাশে কান পাতলেই এখন শোনা যাচ্ছে কংগ্রেসে ভাঙনের সুর।
[আরও পড়ুন: নীতিহীনদের সঙ্গে থাকবেন না তিনি, প্রকাশ্যেই হুমকি তৃণমূলের মন্ত্রীর, তোপ পার্থকে]
তবে কি লোকসভা ভোটের আগেই কংগ্রেস ভেঙে যাবে। মৌসম বেনজির নুরের কথাতেই এই জল্পনা আরও বেড়ে চলেছে। তিনি বলেছেন, রাজনীতিতে সব সম্ভাবনাই থাকে। তাঁর এই কথা ঘিরেই কংগ্রেসের অন্দরে চাপান-উতোর শুরু হয়েছে। তৃণমূল জেলা সভাপতি এই সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিলেও, জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী যে বার্তা দিয়ে গিয়েছিলেন পঞ্চায়েতে জয়ীদের সংবর্ধনা মঞ্চ থেকে, তারপর মৌসমের কথা তির হয়ে বিঁধছে কংগ্রেস শিবিরে।
উল্লেখ্য শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করুন মুর্শিদাবাদের মতোই মালদহ কংগ্রেসেরও একই অবস্থা হবে। শুধু পঞ্চায়েত সদস্যরাই নন, শীর্ষ নেতৃত্বও তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন। এই জেলাতেও কংগ্রেসের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। তাঁর কথায়, এমনই ইঙ্গিত এ রাজ্যে একটা কংগ্রেসই থাকবে, তা হল তৃণমূল কংগ্রেস।