কোন পথে অধীর, তাঁর রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই এবার প্রশ্ন তুললেন সাংসদ
অধীরকে তুলোধনা করে সিপিএম সাংসদ বলেন, ‘প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অন্য দলকে বিশ্বাসঘাতক বলছেন, আদৌ তাঁর নিজের রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে কি?’
সবংয়ের উপনির্বাচনে জোট ভাঙার জেরে এবার দুই সাংসদের বাকযুদ্ধ শুরু হল রাজ্য-রাজনীতিতে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরীর রাজনৈতিক বিশ্বযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন আর এক সাংসদ। অধীরকে তুলোধনা করে সিপিএম সাংসদ বলেন, 'প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অন্য দলকে বিশ্বাসঘাতক বলছেন, আদৌ তাঁর নিজের রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে কি?'
[আরও পড়ুন:মুকুলের পর এবার এই বিষয়ে দিলীপের নিশানায় মমতা, কী জবাব দিল তৃণমূল]
সম্প্রতি সবং উপনির্বাচন দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই আলোচনা না করেই নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তারই জেরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বামফ্রন্ট তথা সিপিএমকে বিশ্বাসঘাতক বলে মন্তব্য করেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীরবাবুর কথায়, 'এই কেন্দ্রটি দীর্ঘদিন করে কংগ্রেসের দখলে। বিগত নির্বাচনেও এই কেন্দ্রে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস জোট গড়ে লড়াই করেছিল।'
এবারও এই কেন্দ্র থেকে বাম-কংগ্রেস জোট গড়েই তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন অধীর চৌধুরী। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট-ভাগ রুখতেই তিনি এই অভিমত প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু বামফ্রন্ট কোনও আলোচনা না করেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করায় অধীরবাবু বামফ্রন্টকে বিশ্বাসঘাতক বলে অভিহিত করেন। বলেন, 'সিপিএম বিশ্বাসঘাতকের মতো আচরণ করছে।'
এরপরই অধীরের রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সিপিএমের রায়গঞ্জের সাংসদ মহম্মদ সেলিম। সিপিএমের মুখপাত্র সেলিম এদিন অধীর চৌধুরীকে একহাত নিয়ে বলেন, 'যিনি একথা বলেন, তিনি দুদিন বাদে কোন দলে থাকবেন, তা ঠিক নেই। তাঁর রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতাই প্রশ্নের মুখে। তার মুখে বিশ্বাসঘাতকতার কথা মানায় না।'
উল্লেখ্য এর আগে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী অধীরের গড়ে দাঁড়িয়ে দাবি করেন, 'মুকুল রায়ের পর বিজেপিতে পা বাড়িয়ে রয়েছেন অধীর চৌধুরী।তাঁর বিজেপিতে যাওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। ' তা নিয়ে বিতর্কও দানা বাঁধে। অধীর শুভেন্দুর ভূমিকা নিয়েও পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন। এবং শুভেন্দুর মন্তব্যের পরই মুকুল প্রশ্নে বিজেপিকে একহাত নেন অধীর। তিনি বলেন, 'এবার আর দুর্নীতি নিয়ে ছুঁৎমার্গ দেখাতে পারবে না বিজেপি। ক্ষমতার লোভে দুর্নীতিকেও বরণ করে নিল বিজেপি।'