বিদ্রোহী বিজেপি নেতাদের নিয়ে বৈঠক লকেটের, রয়েছেন বহিষ্কৃত জয়প্রকাশ এবং রীতেশও
বিদ্রোহ বাড়ছে বঙ্গ বিজেপিতে! গত কয়েকদিন আগেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য জরুরি বৈঠক ডাকেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু সেই বৈঠকে যে চিঁড়ে ভেজেনি তা স্পষ্ট এদিনের কর্মসূচিতে।
বিদ্রোহ বাড়ছে বঙ্গ বিজেপিতে! বিক্ষুব্ধ এবং বিদ্রোহী বিজেপি নেতা নিয়ে গোপন বৈঠক সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। গত কয়েকদিন আগেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য জরুরি বৈঠক ডাকেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু সেই বৈঠকে যে চিঁড়ে ভেজেনি তা স্পষ্ট এদিনের কর্মসূচিতে।
তবে এতদিন কেন্দ্রীয় নেতা তথা শান্তনু ঠাকুরকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ এবং বিদ্রোহী বিজেপি নেতাদের কার্যত একটা 'জোট' তৈরি হচ্ছিল। কিন্তু এবার নয়া ছবি বিজেপিতে! লকেট ফিরতেই দলের বিদ্রোহী নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসে পড়লেন তিনি।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ওই বৈঠক রয়েছেন বহিষ্কৃত রিতেশ তিওয়ারি, জয়প্রকাশ মজুমদারও। এছাড়াও রয়েছেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়ন্তন সহ আরও বেশ কয়েকজন। আর তা নিয়েই নতুন জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে এদিনে ঠিক কি নিয়ে আলোচনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বর্তমানে বঙ্গ বিজেপি যাদের হাতে রয়েছে না যে কমিটি তৈরি করা হয়েছে তা নিয়ে একটা অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। যদিও ধীরে ধীরে প্রকাশ্যেও এসেছে।
অনেকেই নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এমনকি গত কয়েকদিন জয়প্রকাশ মজুমদার রীতিমত রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এমনকি তাঁর অভিজ্ঞতা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে লড়াই সম্ভব নয় বলেও দাবি ছিল বিদ্রোহী এই বিজেপি নেতার।
উল্লেখ্য, লকেটের সঙ্গে বৈঠকে থাকা বিদ্রোহী নেতাদের মধ্যে থাকা সায়ন্তন বসু থাকলেও তাঁকে কিছু বলতে শোনা যায়নি। নয়া রাজ্য কমিটিতেও জায়গা পাননি। এমনকি একই অবস্থা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। এই অবস্থায় লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই সমস্ত নেতাদের বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। এমনকি লকেটের ভূমিকা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও এই বৈঠকের বিষয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
উত্তরখন্ড নির্বাচন সেরে কলকাতায় ফিরেছেন লকেট। আর ফিরেই দলের হার নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, পুরসভা ভোটে বিজেপির ভোট কমা নিয়েও গুরুতর মন্তব্য করেন লকেট। বলেন, আত্মসমালোচনা খুবই প্রয়োজন। শুধু সন্ত্রাস নিয়ে বললে হবে না বলেও চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেন লকেট। এরপরেই পালটা তোপ দাগেন দিলীপও।
স্পষ্ট জানান, নিজের দোষ দেখা উচিৎ। এই অবস্থায় বিদ্রোহী এবং বিক্ষুব্ধ নেতাদের নিয়ে লকেটের এই গোপন বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত রাজনৈতিকমহলের। তবে উত্তরখন্ডে ভোটের কাজে ব্যস্ত থাকলেও বাংলায় দলের পরিস্থিতি নিয়ে শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন লকেট।