মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘মিস’ করেন তিনি, মন খারাপে টুইটে ‘আশীর্বাদপ্রার্থী’ সাংসদ
তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে গুরু মুকুল রায়ের হাত ধরে সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই একটা প্রশ্ন উঠে পড়েছে, এবার কি অনুপম হাজরার পালা?
তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে গুরু মুকুল রায়ের হাত ধরে সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই একটা প্রশ্ন উঠে পড়েছে, এবার কি অনুপম হাজরার পালা? তিনি নিজে অবশ্য সেই সম্ভাবনা অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে দিয়েছিলেন। এখন বহিষ্কৃত অনুপম বলছেন, তিনি মিস করছেন দিদিকে। এখন তিনি দিদির আশীর্বাদ প্রার্থী।
এখন মন খারাপ অনুপমের
দল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে এখন মন খারাপ অনুপমের। নানা মহলে তাঁকে নিয়ে কথা উঠছে যে, অনুপম এবার গুরু মুকুল রায়ের হাত ধরে প্রবেশ করবেন বিজেপিতে। কিন্তু তিনি জানান, সে সম্ভাবনা নেই। বরং দিদি যদি ডাকেন তিনি লোকসভায় তৃণমূলের হয়ে প্রচারে নামতে রাজি। তিনি কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরপ আদর্শচ্যুত হননি।
দিদিই আদর্শ বোলপুরের সাংসদের
নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে দিদির উদ্দেশ্যে অনুপম লেখেন, আপনার আদর্শে আঁচড় পড়ুক এমন কাজ করার কথা কখনও ভাবতে পারি না। জ্ঞানত দলবিরোধী কোনও কাজ করিনি। তবু স্রেফ অনুমানের উপর ভিত্তি করে আমাকে বহিষ্কৃত করা হল। বহিষ্কৃত হওয়ার চারদিন পরেই অনুপম ফের হয়ে পড়লেন তৃণমূলপ্রেমী।
‘কলকাঠি নেড়েছেন পার্থদাই’
তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার জন্য তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকেই আঙুল তুললেন। বললেন, আসলে তাঁর বহিষ্কারের পিছনে কলকাঠি নেড়েছেন পার্থদাই। যদি যথার্থই দলের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত হয়, তা অবশ্যই সমর্থনযোগ্য। কারণ কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বার্থ দলের স্বার্থের ঊর্ধ্বে নয়।
— Anupam Hazra (Dr. Anupam Hazra) (@tweetanupam) January 13, 2019 |
আশীর্বাদ চাইছি দিদির
অনুপম এ প্রসঙ্গে বলেন, আমি সত্যিই তৃণমূলকে মিস করছি, মিস করছি দিদিকে। তাই টুইটারের মাধ্যমেই আশীর্বাদ চাইছি দিদির। আমি ওনার কাছে চিরকৃতজ্ঞ। তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে তির ছুড়ে বলেন, আমাকে অনুমানের ভিত্তিতে বহিষ্কার করা হল। সেই কারণেই পুরনো ফেসবুক প্রসঙ্গ টেনে আনা হল।
|
অনুমানের ভিত্তিতে তাঁকে বহিষ্কার
সৌমিত্র খাঁয়ের সঙ্গে অনুপমের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। দুজনেই মুকুল অনুগামী বলে পরিচিত। দুজনের সঙ্গেই মুকুল রায়ের যোগাযোগ ছিল। হয়তো এখনও ছিল। কিন্তু সেটা ব্যক্তিগত পর্যায়ে। সৌমিত্র বিজেপিতে যাওয়ার পর অনুমান করে তাঁকে বহিষ্কার করা হল। বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্য করলেন না বোলপুরের সাংসদ।