ফ্ল্যাটে ঢুকে পাঁচ বছরের মেয়ের সামনে মাকে নৃশংস খুন, মোটিভ নিয়ে ধন্দে পুলিশ
নিছকই লুঠপাটের উদ্দেশ্যে খুন নাকি হাওড়ার বালিতে গৃহবধূ রাখি সিংহের হত্যার পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে? এখনও ধন্দে পুলিশ।
হাওড়া, ২৮ ফেব্রুয়ারি : নিছকই লুঠপাটের উদ্দেশ্যে খুন নাকি হাওড়ার বালিতে গৃহবধূ রাখি সিংহের হত্যার পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে? এখনও ধন্দে পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডের একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী রাখিদেবীর পাঁচ বছরের মেয়ে অঞ্জলিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিন্টু আঙ্কেলের কথা জানতে পেরেছে পুলিশ।
সোমবার বিকেলে বালির বাদামতলায় ফ্ল্যাটে ঢুকে রাখি সিংহকে গলা কেটে নৃশংসভাবে খুন করে পালায় এক দুষ্কৃতী। ফ্ল্যাটের দরজা বাইরে থেকে আটাকানো ছিল। ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে আর্ত চিৎকার শুনে গৃহশিক্ষিকা ছুটে আসেন। দেখেন রাখিদেবীর গলায় গভীর ক্ষত। চাপ চার রক্ত পড়ে রয়েছে ফ্ল্যাটের ডাইনিং, কিচেন ও বেডরুমে। বিছানায় পড়ে রয়েছে চায়ের কাপ, বিস্কুট, ঝুরিভাজা। তড়িঘড়ি আহত রাখিদেবীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে তাঁর মৃত্যু হয় হাসপাতালে।
ওই আবাসনেরই নিচের ফ্ল্যাটে গৃহশিক্ষিকা রমাদেবীর কাছে বড় মেয়ে খুশিকে পড়তে দিতে এসে রাখীদেবি জানান, দেশ থেকে এক পরিচিত এসেছেন তাঁদের বাড়িতে। সেই পরিচিতই যে এই কাণ্ড ঘটিয়ে চম্পট দেবেন ভাবেননি কেউ। পাঁচ বছরের অঞ্জলি জানিয়েছে, পিন্টু আঙ্কেন মায়ের কাছে টাকা চাইছিল। তা নিয়েই ঝগড়া শুরু হয়। তখন ছুরি বের করে গলার নলি কেটে দেয় ওই পিন্টু আঙ্কেল।
পুলিশ খতিয়ে দেখছে, কীসের টাকা নিয়ে এই বিবাদ। যার জেরে পরিচিত ওই যুবক খুন করে গেলেন রাখি সিংহকে। এই খুন পরিকল্পিত নাকি রাগের বশবর্তী হয়ে ছুরি চালিয়ে দেয় ওই যুবক তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃতার মোবাইলের কললিস্টও পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এদিকে দিনদুপুরে ফ্লাটে ঢুকে এই খুনের ঘটনায় আতঙ্কিত বাসিন্দারা। গাড়িতে করে দুই ব্যক্তি এসেছিল বলে প্রতিবেশীরা জানায়। তারপর অপারেশন চালিয়ে পালিয়ে যায় তারা। উল্লেখ্য, ফ্ল্যাটে যখন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, তখন রাখিদেবীর স্বামী মনোজ সিংহ দোকানে ছিলেন। মনোজ একটি চা দোকান চালান স্থানীয় এলাকায়।