খাঁ খাঁ করছে বিজেপির রাজ্য দফতর, পুরভোটের মুখে সবাই ইন্দোর মুখী! অভিযোগ ওড়াল বিজেপি
পুরভোটের দামামা বেজে গেলেও, রাজ্য বিজেপির সদর দফতর কার্যত খাঁ খাঁ করছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতার দেখা নেই সেখানে। জানা যাচ্ছে, তাঁরা সবাই গিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে।
পুরভোটের দামামা বেজে গেলেও, রাজ্য বিজেপির সদর দফতর কার্যত খাঁ খাঁ করছে। অভিযোগ, অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতার দেখা নেই সেখানে। জানা যাচ্ছে, তাঁরা সবাই গিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে। সেই তালিকায় যেমন রয়েছেন, জেলা সভাপতিরা, রয়েছেন বড়, মেজ, সেজ, অনেকেই। যদিও রাজ্য বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, হাইপ্রোফাইল নিমন্ত্রণ সত্ত্বেও সব সময়ই কোনও না কোনও নেতা রাজ্য তথা কলকাতার পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন।
বিজেপির রাজ্য দফতরের বাইরে শুধু নিরাপত্তা রক্ষীরা
রাজ্য বিজেপির সদর দফতর কার্যত ফাঁকা। অভিযোগ, দুএকজন নিরাপত্তারক্ষীর দেখা মিললেও তারা কার্যত রয়েছেন মাছি তাড়ানোর ভঙ্গিতে।
বসের নিমন্ত্রণ, নেতারা ছুটছেন ইন্দোর
বস কৈলাস বিজয়বর্গীয়র নিমন্ত্রণ। তাকে সামনে রেখেই বিজেপির বড়, মেজ, সেজ প্রায় সকলেই, যাঁরা নিমন্ত্রণ পেয়েছেন, তাঁরা ছুটছেন সেখানে। আবার অনেকে কটাক্ষ করে বলছেন, আপাতত ইন্দোর বাইপাসের ধারে গ্র্যান্ড প্যালেস-ই বঙ্গ বিজেপির অস্থায়ী ঠিকানা।
কৈলাসের ছেলের বিয়েতে নিমন্ত্রণ
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে রাজ্য বিজেপির ভারপ্রাপ্ত নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ছেলে কল্পেশের বিয়ে। সেই উপলক্ষেই ভারত জুড়েই নিমন্ত্রণ বিজেপির নেতাদের। তালিকায় রয়েছেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরাও। জানা গিয়েছে ইন্দোরে বিয়ের অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত প্রায় হাজার সাতেক।
বিয়ে খেয়ে নেতাদের অনেকেই যাবেন মহাকালেশ্বর মন্দিরে
অতিথিদের জন্য ইন্দোরে যেমন পাঁচতারা হোটেলের বন্দোবস্ত করা হয়েছে, তেমনই বিমানবন্দরে খোলা হয়েছে হেলপ ডেস্ক। বুধবার বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাজ্যের অনেক নেতাই যেতে চাইছেন মহাকালেশ্বর মন্দিরে পুজো দিতে।
নতুন রাজ্য কমিটি তৈরির আগে ইন্দোরের ভিড় নিয়ে জল্পনা
বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি তৈরির আগে ইন্দোরে ভিড় নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, রাজ্য কমিটিতে থাকতে, কৈলাসকে তাঁরা দেখাতে চাইছেন, তাঁরা তাঁর(কৈলাস) অনুগামী। তবে যাঁরা ইতিমধ্যেই ইন্দোর গিয়েছেন, তাঁরা বলছেন, এসবই রটনা। যাঁরা আমন্ত্রণ পাননি, তাঁরাই এসব রটিয়ে বেড়াচ্ছেন।
অভিযোগ ওড়াল রাজ্য বিজেপি
রাজ্য
বিজেপির
তরফে
জানানো
হয়েছে,
কৈলাসজির
ছেলের
বিয়ের
নিমন্ত্রণ
রক্ষার
মাঝেও
পুর
নির্বাচনকে
মাথায়
রেখে
কলকাতায়
সর্বক্ষণ
উপস্থিত
বিজেপির
কোনও
না
কোনও
বড়
নেতা
।
গত
১৪,১৫
ফেব্রুয়ারি
চলা
সাঙ্গঠনিক
বৈঠকে
বিজেপির
জেলা
ও
রাজ্য
স্তরের
কর্মী
ও
কার্যকর্তাদের
মধ্যে
পুরসভা
ভোট
নিয়ে
যে
উৎসাহের
বাতাবরণ
তৈরি
হয়েছিল
সেটাকে
কোনও
ভাবে
নষ্ট
করতে
চাননি
রাজ্য
নেতৃত্ব।
সেই
কারণেই
সর্ব
ভারতীয়
সাধারণ
সম্পাদকের
ছেলের
বিয়ের
অনুষ্ঠানের
মতো
হাই
প্রোফাইল
নিমন্ত্রণেও
যাননি
অনেক
রাজ্য
পদাধিকারী।
নিমন্ত্রণ-এর
ফাঁকে
মোদীজি
বা
অমিত
শাহর
সঙ্গে
দেখা
করার
লোভও
সংবরণ
করেছেন
অনেক
নেতা।
সেই
কারণে
১৬
ফেব্রুয়ারি
যখন
মুকুল
রায়
ইন্দোরে
যান,
তখন
কলকাতা
তথা
বাংলার
দুর্গ
সামলান
দিলীপ
ঘোষ
ও
সুব্রত
চট্টোপাধ্যায়।
একদিন
থেকেই
ফিরে
আসেন
মুকুল
রায়।
উনি
ফিরলে
১৭
ফেব্রুয়ারি
নিমন্ত্রণ
রক্ষা
করতে
যান
দিলীপ
ঘোষ।
এই
ভাবে
পালা
করে
রাজ্য
পদাধিকারীরা
যান
যাতে
কোনও
ভাবেই
কর্মীদের
কাছে
বার্তা
না
যায়
যে
পুরনির্বাচন
নিয়ে
বিজেপি
নেতৃত্ব
সিরিয়াস
নয়।
আর
এই
সময়
অফিস
সেক্রেটারি
হিসাবে
সর্বক্ষণ
কর্মীদের
অভাব
অভিযোগ
সামলান
দীপাঞ্জন
গুহ
ও
তাঁর
টিম।