পুরনো সৈনিকদের উপরই ভরসা রেখেছে বিজেপি, তৃণমূল-ত্যাগী নেতারা বেনোজল
বিজেপিতে দিনের পর দিন বেড়েছে নব্যদের দাপট। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতারাই এবার বেশি প্রার্থী হবেন, এমনটা মনে করেছিলে আদি নেতারা।
বিজেপিতে দিনের পর দিন বেড়েছে নব্যদের দাপট। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতারাই এবার বেশি প্রার্থী হবেন, এমনটা মনে করেছিলে আদি নেতারা। কিন্তু বিজেপি প্রথম দুই দফার প্রার্থী ঘোষণার পর দেখা দেল পুরনো সৈনিকদের উপরই বেশি ভরসা রেখেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবির বুঝিয়ে দিল বেনোজলে তাদের আস্থা নেই।
দলের পুরনো কর্মীরা হতোদ্যম হয়ে পড়েছিলেন নব্যদের দাপটে। প্রার্থী ঘোষণার পর অবশ্য তাঁদের মুখে হাসি ফুটেছে। বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সম্ভাবনা রুখতেই ধীরে চলো নীতি নিয়েছিল বিজেপি। সেই লক্ষ্য তারা সফল। এমনভাবেই প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে যে সাপও না মরে লাঠিও না ভাঙে।
পুরুলিয়ায় ৯টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তার মধ্যে দুজন মাত্র অন্য দল থেকে আসা নেতা। বাকি সাতজন আদি বিজেপি নেতা। শুভেন্দুর হাত ধরে আসা সুদীপ মুখোপাধ্যায় পুরুলিয়ায় টিকিট পেয়েছেন। বাঁকুড়ার ১২টির মধ্যে ১০টিতে বিজেপির আদি নেতারা। দুটিতে তৃণমূলত্যাগী নেতারা প্রার্থী হয়েছেন।
পূর্ব মেদিনীপুরেও পাঁচটি বাদে বাকি আসনে পুরোন সৈনিকদের উপর আস্থা রেখেছে বিজেপি। পশ্চিম মেদিনীপুরে চন্দ্রকোনা ছাড়া বাকি আসনে আদি বিজেপির প্রার্থী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মাত্র একটি আসনে তৃণমূল থেকে আসা নেতাকে প্রার্থী করা হয়েছে। বাকি আসনে পুরনো মুখেই ভরসা রেখেছে বিজেপি।