অধিকাংশ কোভিড–১৯ রোগীর আন্তর্জাতিক সফরের ইতিহাস নেই, দাবি আইসিএমআরের
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বা ভারতে করোনা ভাইরাস আক্রান্তরা নয়তো বিদেশে ঘুরতে গিয়েছিলেন বা বিদেশে গিয়েছে এমন ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন। কিন্তু আইসিএমআর সমীক্ষায় উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তারা জানিয়েছে, যারা তীব্র শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা (এসএআরআই) নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন তাঁদের মধ্যে ৯৩ শতাংশ রোগীর কোভিড–১৯ ধরা পড়ছে। তবে অবাক করা বিষয় হল এরা কেউই বিদেশ ভ্রমণ করেনি বা এমন কোনও ব্যক্তির সংস্পর্শেও আসেনি যার পূর্বে ভ্রমণের ইতিহাস রয়েছে।
অধিকাংশ কোভিড–১৯ রোগীর বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস নেই
সমীক্ষা অনুযায়ী, ১০২ জন এসএআরআই রোগী, যাদের শরীরে কোভিড-১৯ পাওয়া গিয়েছে, তাদের মধ্যে ৫৯টি কেসে (৫৮%) দেখা গিয়েছে যে তারা কোনও করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসেনি বা বিদেশেও ভ্রমণ করেনি। ৪৩টি কেসের বিবরণ এখনও জানা বাকি রয়েছে এবং ৪০টি কেসে (৯৩%) আন্তর্জাতিক সফর বা সংস্পর্শে আসার কোনও খবর নেই।
গোষ্ঠী সংক্রমণের আভাস
কিছু জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে এটি গোষ্ঠী সংক্রমণের দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে। ডাঃ টি সুন্দরমন, যিনি একজন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও ভারত সরকারের সঙ্গে কাজ করেন তিনি বলেন, ‘এটা স্পষ্ট গোষ্ঠী সংক্রমণের দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। এমনকী হু জানিয়েছে যে আন্তর্জাতিক সফরের ইতিহাস নেই বা বিদেশে গিয়েছে এমন কারোর সংস্পর্শে না এসেও যদি করোনা উপসর্গ দেখা দেয় তবে তা গোষ্ঠী সংক্রমণ হতে পারে।' তিনি আরও বলেন, ‘রোগ সংক্রমণের ক্ষেত্রে গোষ্ঠী সংক্রমণ একটা পর্যায় শুধু, এর অর্থ এই নয় যে সরকারের ঘোষণা করা লকডাউন ব্যর্থ হয়েছে বা সরকার সফল হয়নি। সরকারের এটা মেনে নিতে কষ্ট হয় যে লকডাউনের সফলতা বলতে গোষ্ঠী সংক্রমণ রোধ করা। গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লেও সরকারের কৌশলে কোনও বদল হবে না।'
এসএআরআই রোগীদের মধ্যে কোভিড–১৯-এর সংখ্যা বেড়েছে
হু-এর মতে, ‘গোষ্ঠী সংক্রমণ হল অক্ষমতার প্রমাণ যা বড় সংখ্যায় সংক্রমণের নিশ্চিত কেসের চেইনটিকে বাড়িয়ে দেয়।' আইসিএমআর গবেষণা, যার প্রধান বলরাম ভার্গভ জানিয়েছেন যে এসএআরআই রোগীদের মধ্যে কোভিড-১৯ পজিটিভের সংখ্যা শূণ্য থেকে বেড়েছে, যা ১৪ মার্চের আগে থেকে ২ এপ্রিল শেষ হওয়া পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ২.৬%। ২২ মার্চ থেকে ২ এপ্রিলের মধ্যে যখন কোভিড পরীক্ষার কৌশলটি সমস্ত এসআরআই রোগীদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রসারিত করা হয়েছিল, ৪,৯৪৬টির মধ্যে ১০২ টি নমুনা পজিটিভ হয়েছিল।