বন্যায় রাজ্যে ক্ষতি ১৪ হাজার কোটির বেশি, অসম-গুজরাতের মতো প্যাকেজ দাবি মুখ্যমন্ত্রীর
গোটা রাজ্যে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ ১৪ হাজার কোটি ছাড়িয়েছে। সোমবার এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গোটা রাজ্যে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ ১৪ হাজার কোটি ছাড়িয়েছে। সোমবার এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মালদা ও দুই দিনাজপুরের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনের পর মালদার গৌড়ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সেখানে তিনি বলে, রাজ্যের অবস্থান এমনই যে চারদিকের জল রাজ্যকেই নিতে হয়। তাঁর অভিযোগ, দক্ষিণবঙ্গে বন্যা হয়েছে ডিভিসির ছাড়া জলে আর, মালদা ও দুই দিনাজপুরে বন্যা হয়েছে বিহারের জলে। বন্যায় উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে ১১ জেলার ক্ষতির হিসেবও দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, বানভাসি মানুষের সংখ্যা দেড় থেকে দু কোটি।
[আরও পড়ুন:অধীরের কণ্ঠে মমতাকে নিয়ে অভিমান! কংগ্রেস সাংসদের 'পরিবর্তন'-এ নয়া জল্পনা]
বাংলার বন্যায় ক্ষতিপূরণে কেন্দ্রের কাছে প্যাকেজ দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খুব তাড়াতাড়ি কেন্দ্রকে রিপোর্ট পাঠানোর কথা জানিয়েছেন তিনি। বিজেপি শাসিত প্রতিবেশী অসম এবং প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য গুজরাত প্যাকেজ পেলে বাংলা পাবে না কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যের অর্থ দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, বন্য়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সঠিক ভাবে করা সম্ভব নয়। কৃষি, পূর্ত, প্রাণিসম্পদ বিকাশ এবং পঞ্চায়েত দফতরকে আলাদা ফভাবে ক্ষতির রিপোর্ট তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মালদার গাজোল, উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর পর্যন্ত যান মুখ্যমন্ত্রী। জল থাকায় বুনিয়াদপুরে ঢুকতে পারেননি তিনি। ত্রাণ শিবিরে গিয়ে দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকার পাশে থাকবে বলে আশ্বাসও দেন। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, ত্রাণ নিয়ে এখনও কোনও সমস্যা নেই। প্রকৃত দুর্গতরা অবশ্যই ত্রাণ পাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। দুর্গত এলাকায় ত্রাণ নিয়ে নানা অভিযোগ উঠলেও এদিন তা মানতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বানভাসি কৃষকদের ১ হাজার টাকা থেকে ১৮ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষতি পূরণ দেবে কৃষি দফতর।