জগন্নাথপুরে বিজেপিতে যোগ শতাধিক মুসলিম পরিবার
সবকা সাথ সবকা বিকাশ কর্মসূচির সভা মঞ্চ থেকে বিজেপিতে যোগ দিল তিন শতাধিক মুসলিম পরিবার সহ তৃণমূল ও সিপিএম দল থেকে আরো শতাধিক কর্মী সমর্থক অর্থাৎ সর্বমোট চার শতাধিক নতুন সদস্য-সদস্যা বিজেপি পরিবারে যোগদান করেন। এদিন দলে আগত সকলের হাতে ভারতীয় জনতা পার্টির পতাকা তুলে দেন সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সভাপতি মোঃ আলি হোসেন ও সাংগঠনিক সভাপতি অশোক চক্রবর্তী।

বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, 'সবকা সাথ সবকা বিকাশ' কর্মসূচি রূপায়ণে রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিকবৃন্দের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে জমে উঠেছিল বিজেপির সভা। ভারতীয় জনতা পার্টি নদীয়া জেলা দক্ষিণের উদ্যোগে হাঁসখালি থানা এলাকার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা জগন্নাথপুরের সভা শেষ পর্যন্ত মহা সমাবেশে পরিণত হয়। এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সহ সমাজে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণী বিশেষত কৃষক, ক্ষেতমজুর সহ প্রান্তিক শ্রমজীবী মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
উপস্থিত ছিলেন, বিজেপি সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সভাপতি মোঃ আলি হোসেন সহ নদিয়া জেলা দক্ষিণের সাংগঠনিক সভাপতি অশোক চক্রবর্তী,৩৮ নং জেড পি-র বর্ষীয়ান জননেতা এক্স,ডি,সি(সীমান্ত রক্ষী বাহিনী) সুনীল কুমার বিশ্বাস সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
দু'দিনের সফরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এখন পশ্চিমবঙ্গে, বাঁকুড়া জেলায় একাধিক কর্মসূচি শেষ করে কলকাতায় ফিরবেন, এই পরিস্থিতিতে দলের কর্মী সমর্থকদের আরো উজ্জীবিত করবে বলেই মদ বিশেষজ্ঞদের।
মুসলিম তোষণের প্রসঙ্গ টেনে রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করে আলী হোসেন জানান, বাংলার মুসলিম সমাজকে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোশ খুলে দেন তিনি, তুষ্টি করণ সহ তোষণের নোংরা রাজনীতির বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন তিনি।আলি হোসেনের আলোচনায় উঠে আসে, তিন তালাক আইন, কেন্দ্রের কৃষি সুরক্ষা আইন, কৃষাণ সমৃদ্ধি যোজনা, আয়ুষ্মান ভারত প্রভৃতি একের পর এক কেন্দ্রীয় প্রকল্প এ রাজ্যের মমতা সরকার চালু না করায় বাংলার জনগণ কি ভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন,তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন মোঃ আলি হোসেন।

করোনার কোপে ব্রাত্য কাঁচের কাপ প্লেট, বাড়ছে কাগজের কাপের চাহিদা