মুকুলের পর জল্পনা বাড়ালেন আরও এক বিধায়ক, তৃণমূলে গিয়েও বললেন বিজেপিতে আছি
মুকুলের পর জল্পনা বাড়ালেন আরও এক বিধায়ক, তৃণমূলে গিয়েও বললেন বিজেপিতে আছি
মুকুল রায় ঘটা করে তৃণমূলে নাম লিখিয়েও, ফলাও করে বলে বেড়াচ্ছেন- তিনি বিজেপিতেই আছে। এবারও সেই মুকুল রায়ের পথে চললেন তাঁর অনুগামী বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। বিশ্বজিৎ দাসও তৃণমূলের যোগ দিয়েও বললেন, তিনি বিজেপিতেই আছেন। এমনকী তিনি আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে বিজেপির জেতা উচিত বলেও মন্তব্য করেন।
ঘরওয়াপসি পরও বিশ্বজিৎ দাস বলছেন তিনি বিজেপিতেই
মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসও তৃণমূলে ফেরেন। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে পতাকা নিয়ে ঘরওয়াপসি হলেও এখন বিশ্বজিৎ দাস বলছেন তিনি বিজেপিতেই আছেন। স্বভাবতই পুরসভা ভোটের আগে রাজ্যজুড়ে নতুন করে জল্পনার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।
বিশ্বজিতের ভোলবদলের পিছনে কোন অভিষন্ধি
কিন্তু কেন এই ভোলবদল বিশ্বজিতের? এর মধ্যে কি নতুন কোনও অভিষন্ধি রয়েছে। বৃহস্পতিবার তিনি বিজেপির সমালোচনা করে বলেন, চারটি পুরসভায় বিজেপির পরাজয় হয়েছে প্রবল গোষ্ঠীকোন্দলের কারণে। এরকমভাবে দল চললে, ভালো মানুষকে না ব্যবহার করলে, পরাজয় তো হবেই। বিজেপি সেভাবে কোনও ভালো মানুষকে ব্যবহার করতে পারেনি।
বিজেপি থেকে জিতেছি, বিজেপিতেই রয়েছি
বিজেপি সাংসদকে এক হাত নিয়ে তিনি বলেন, এখানে যে বিজেপি সাংসদ রয়েছেন তিনি এককভাবে সব চালাতে চাইছেন। এইভাবে ব্ল্যাকমেলিংয়ের ফর্মুলায় সব চলতে পারে না। কিন্তু হঠাৎ কী হল, আপনার মুখে বিজেপির কথা? প্রশ্নের উত্তরে বেমালুম তিনি বললেন, আমি তো এখনও বিজেপিতেই আছি। বিজেপি থেকে জিতেছি। আমি তো অন্য দল থেকে জিতে বিধায়ক হইনি। বিজেপি থেকে জিতেছি, বিজেপিতেই রয়েছি।
তৃণমূল পার্টি অফিসে বৈঠক থেকে বেরিয়েই বার্তা
বিজেপি থেকে জিতেছি, বিজেপিতেই আছি- বিশ্বজিতের এই মন্তব্য নিয়েই জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে। একইসঙ্গে তৃণমূলের অস্বস্তিও বেড়েছে। কারণ তিনি তৃণমূল পার্টি অফিসে বৈঠক থেকে বেরনোর পর এই মন্তব্য করেন। তিনি তির ছাড়লেন বিজেপির সাংসদ তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুররে দিকে। একইসঙ্গে দাবি করলেন, তিনি বিজেপিতেই রয়েছেন।
শান্তনু যখন বিজেপিতে বিদ্রোহী, বিশ্বজিতের অবস্থান
সম্প্রতি শান্তনু ঠাকুর বিজেপিতে বিদ্রোহীর ভূমিকা নিয়ছেন। শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে একনায়কতন্ত্র চালানোর অভিযোগ তুলে তিনি কি ফের বিজেপিতে গুরুত্ব বাড়াতে চাইছেন, নাকি তাঁর বিজেপিতেই আছি মন্তব্য নিজের বিধায়ক পোস্ট ধরে রাখতে, তা নিয়েই চলছে চর্চা। তিনি যেমন শান্তনু ঠাকুরের প্রসঙ্গ তুলে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁর জন্যই তিনি বিজেপি ছেড়েছেন, একইসঙ্গে শান্তনু যখন বিজেপিতে বিদ্রোহী, নিজেকে বিজেপি বিধায়ক বলে তুলে ধরা চাই বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
দুটি পুরসভাতেই বিজেপির ভালো করা উচিত
শুধু বিজেপি থেকে জিতেছি, বিজেপিতেই আছি মন্তব্য করেই ক্ষান্ত নন বিশ্বজিৎ। তিনি বলেন, বনগাঁ ও গোবরডাঙা দুটি পুরসভাতেই বিজেপির ভালো করা উচিত। গত বিধানসভা নির্বাচনে দুই পুর এলাকাতেই বিজেপি এগিয়েছিল। বনগাঁয়ে ২২টা ওয়ার্ডের মধ্যে ২১টিতে বিজেপি এগিয়েছিল। আর গোবরডাঙায় ১৭টার মধ্যে ১৫টায় এগিয়েছিল বিজেপি।
তৃণমূলে নতুন পদের সৃষ্টি হবে! কাকে কোন পদ দিচ্ছেন মমতা, চূড়ান্ত হবে কর্মসমিতির বৈঠকে