পেঁয়াজ চাষে রাজ্যে বাড়ল জমি, তবু উঠছে প্রশ্ন
রাজ্য জুড়ে পেঁয়াজের অগ্নিমূল্য রুখতে সম্প্রতি কোচবিহার জেলায় তার চাষের জমি দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কিন্তু, অতিরিক্ত বীজ কোথা থেকে আসবে বা উৎপাদিত অতিরিক্ত পেঁয়াজ সংরক্ষণে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তার কোনও দিশা নেই।
সম্প্রতি
রাজ্যে
পেঁয়াজের
দাম
৭০-৮০
টাকা
ছুঁয়েছে।
আক্ষরিক
অর্থেই
পেঁয়াজের
ঝাঁঝে
বাঙালির
চোখে
জল।
বাইরে
থেকে
পেঁয়াজ
এনেও
পরিস্থিতি
সামাল
দেওয়া
যাচ্ছে
না।
তাই
মুখ্যমন্ত্রী
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
উদ্যোগে
রাজ্যকে
পেঁয়াজ
উৎপাদনে
স্বনির্ভর
করার
চেষ্টা
শুরু
হয়েছে।
তারই
অঙ্গ
হিসাবে
কোচবিহার
জেলায়
অতিরিক্ত
৪০০
হেক্টর
জমিকে
চিহ্নিত
করা
হয়েছে।
প্রসঙ্গত,
বর্তমানে
এই
জেলার
৫৫০
হেক্টর
জমিতে
পেঁয়াজের
চাষ
হয়।
চাষীদের
সেখানে
চাষবাসে
উৎসাহ
দিচ্ছে
উদ্যানপালন
দফতর।
পেঁয়াজের ঝাঁঝে বাঙালির চোখে জল
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, চাষের এলাকা বাড়লে বীজের চাহিদাও দ্বিগুণ হবে। সেই বীজ আসবে কোথা থেকে? সরকার অভয় দিয়ে বলেছে, চাষীদের বিনামূল্যে ২০০ কিলো পেঁয়াজ বীজ দেওয়া হবে। কিন্তু, তাতে কেউ উৎসাহ দেখাননি। কারণ, চাহিদার তুলনায় তা খুবই অল্প। আর একটি বিষয় হল, সংরক্ষণ। রাজ্যে ১২টি হিমঘর থাকলেও একটিতেও পেঁয়াজ সংরক্ষণের পরিকাঠামো নেই। পেঁয়াজ পচনশীল পদার্থ বা পেরিশেবল আইটেম হওয়ায় খুব তাড়াতাড়ি পচে যাবে। সেক্ষেত্রে চাষীদের দুর্দশার শেষ থাকবে না। কৃষকদের বক্তব্য, ডিসেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজ লাগানো হয়। নভেম্বরের অর্ধেক অতিক্রান্ত। এত অল্প সময়ে চাহিদা মতো বীজ হাতে পেয়ে চাষ করে ফসল তোলা কার্যত অসম্ভব।