পাহাড়ে ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা মোর্চার, প্রস্তুত রাজ্যও, কী বলছে গোয়েন্দা রিপোর্ট
প্রতিবেশী দেশের মাওবাদীদের সাহায্য নিয়ে পাহাড়ে সশস্ত্র গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, গোয়েন্দা সূত্রে এমনই খবর বলে দাবি রাজ্য পুলিশের।
পড়শি দেশের মাওবাদীদের সাহায্যে দীর্ঘমেয়াদী গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। গোয়েন্দা সূত্রে এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ। পড়শি দেশের মাওবাদীরাই জিজেএম ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা)অনুজ শর্মা। অবশ্য রাজ্য পুলিশের এই দাবিকে ভিত্তিহীন বলেই উড়িয়ে দিয়েছে মোর্চা নেতারা।
[আরও পড়ুন: পাহাড় ইস্যুতে 'অহংকারী' মুখ্যমন্ত্রীর কোর্টে বল ঠেলে কী বার্তা কৈলাশের]
গত দেড় মাস ধরে আগুন জ্বলছে পাহাড়ে। একটানা চলেছে বনধ। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আপোস না করে পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে গোর্খাল্য়ান্ড পার্সোনেল বা জিএলপি গঠন করা হয়েছে। আর এখানেই লুকিয়ে রয়েছে আসল খেলা। রাজ্য পুলিশের দাবি, এই জিএলপি-র আড়ালেই মোর্চা ক্যাডারদের সশস্ত্র গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আর মোর্চাদের প্রশিক্ষণ দিতে মাওবাদীরা ঢুকছে পড়শি দেশ থেকে। রাজ্য পুলিশের এডিডি, আইন-শৃঙ্খলা অনুজ শর্মার দাবি, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে। মোর্চার গেরিলা যুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি, পুলিশ ও প্রশানিক আধিকারিকদের টার্গেট করা হতে পারে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, কমপক্ষে ২৫-৩০ জন মাওবাদীকে রীতিমত ভাড়া করে নিয়ে এসেছে মোর্চা নেতারা। তারাই দলের ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এমনকী বিপুল পরিমাণে অস্ত্র-শস্ত্রও মজুত করা হয়েছে বলে খবর। অবশ্য যে কোনও ধরনের পরিস্থিতির জন্য রাজ্য সরকার পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রে এই খবর পাওয়ার পরই মাওবাদী মোকাবিলায় অভিজ্ঞ বেশ কয়েকজন পুলিশের শীর্ষ কর্তাকে পাহাড়ে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের জঙ্গলমহলের মাওবাদী মোকাবিলারও অভিজ্ঞতা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই আইপিএস আধিকারিক মনোজ ভার্মাকে দার্জিলিঙের আইজি করে পাঠানো হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত জঙ্গলমহলে মাওবাদী মোকাবিলায় তাঁর ভূমিকা প্রশংসা কুড়িয়েছিল।
[আরও পড়ুন:আগুনে রাজনীতি থেকে না সরলে পাটে উঠবে গোর্খ্যালান্ড আন্দোলন, গুরুংকে হুঁশিয়ারি হরকার]
অবশ্য রাজ্য পুলিশের এসব দাবিকেই উড়িয়ে দিয়েছে মোর্চা শীর্ষ নেতৃত্ব। এই ধরনের খবর রটিয়ে মোর্চার গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন মোর্চা সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। একেবারে গণতান্ত্রিক পথেই তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন রোশন গিরি। v