‘গতি’ আসুক বা না আসুক আসছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু , বঙ্গোপসাগরে প্রস্তুত ক্ষেত্র
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ অঞ্চলটি খুব দ্রুত গঠন হচ্ছে। ফলে তা শক্তি বাড়ানো শুরু করবে দ্রুত। নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘গতি’র রূপ নেবে কি না, তা পরের কথা।
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ অঞ্চলটি খুব দ্রুত গঠন হচ্ছে। ফলে তা শক্তি বাড়ানো শুরু করবে দ্রুত। নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড় 'গতি'র রূপ নেবে কি না, তা পরের কথা। তবে আবহাওয়া দফতর স্পষ্ট করেছে এই নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হলে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু গতি পাবে। বাংলায় প্রবেশ করবে বর্ষা।
বর্ষার প্রাথমিক সূচনা হয়ে গিয়েছে
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, পরবর্তী ৩-৪ দিনের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে যাবে নিম্নচাপের প্রকৃত রূপ। তবে বর্ষার প্রাথমিক সূচনা হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই বৃষ্টি বাড়বে। এই দুর্যোগকে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি বলা যেতেই পারে। ফলে বাংলায় বর্ষা ঢোকার যে বিশেষ বিলম্ব নেই, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে ওই নিম্নচাপের বার্তা।
স্বাভাবিক বর্ষা শুরুর প্রতীক্ষা, ঢুকতে মৌসমী বায়ু
আবহবিদরা জানিয়েছেন, এই জাতীয় আবহাওয়া ব্যবস্থা খুব বেশি অগ্রসর হয় না। উপকূল অতিক্রম করার কিছুক্ষণ পরেই তা পুরনো অবস্থা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করে। অবিচ্ছিন্নভাবে কেবলমাত্র সেই অঞ্চল পর্যন্ত অগ্রসর হয়, যেখানে বর্ষার সম্ভাবনা থাকে। তারপর শুরু হয় স্বাভাবিক বর্ষা।
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রভাবে বর্ষা আগতপ্রায়
১৫ জুনের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বিহার এবং ঝাড়খণ্ডে অগ্রসর হয়। সেইমতো ওই মৌসুমী বায়ু ১২ জুন নাগাদ ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করবে। বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে প্রবেশ করবে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু পূর্ব এবং পশ্চিমাঞ্চলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে দ্রুত গতিতে ঢুকবে।
আসন্ন সপ্তাহেই বর্ষার পথ চলা শুরু
এর ফলে ১০ থেকে ১৬ জুনের মধ্যে ওড়িশা, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা এবং মহারাষ্ট্রের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। শুরু হবে বর্ষার পথ চলা। আসন্ন সপ্তাহেই বর্ষা কৃষকদের জন্য প্রফুল্লতা আনবে এবং খরিফ ফসলের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলবে।