‘গব্বর-মোটুরামে’র দাপটে ঘাম ছুটেছে বাসিন্দাদের, পুলিশ তো ‘দুষ্কৃতী’দের পরিচয় শুনেই ‘থ’
এলাকায় তিন ‘দুষ্কৃতী’র দাপটে নাজেহাল অবস্থা বাসিন্দাদের। মোটুরাম, গব্বর আর ছোটা হাতি। অনেক দাপট সহ্য করা হয়েছে তাদের। আর নয়, এবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হতেই হল।
এলাকায় তিন 'দুষ্কৃতী'র দাপটে নাজেহাল অবস্থা বাসিন্দাদের। মোটুরাম, গব্বর আর ছোটা হাতি। অনেক দাপট সহ্য করা হয়েছে তাদের। আর নয়, এবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হতেই হল। কিন্তু পুলিশের চক্ষুও ছানাবড়া হয়ে গেল তাঁদের পরিচয় পেয়ে। প্রশাসনও বিশেষ সুরাহা করতে পারল না। এফআইআর করাই সার হল।
কিন্তু জানেন কি এই মোটুরাম, গব্বর আর ছোটা হাতিকে, যাদের দাপটে ডুয়ার্সের গরুমারা অভয়ারণ্য সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা নাজেহাল হয়ে পড়েছেন? তাঁদের সঙ্গে পরিচয় করে নিন আগে। এই মোটুরাম, গব্বর, ছোটা হাতিরা আসলে বাঁদর। ডুয়ার্সের গুরমারা জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন লাটাগুড়ি স্টেশন পাড়ার বাসিন্দারা মায়ায় পড়ে তাদের বড় করে তুলেছিলেন। এখন তারাই রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে বাসিন্দাদের।
এইসব বাঁদরের বাঁদরামি এতটাই বেড়েছে যে শেষপর্যন্ত পুলিশ-প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়ে হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা এক কৃষক থানায় গিয়ে এফআইআর করেছেন। সেখানে 'ডিটেইল' দিতে গিয়ে বাঁধল বিপত্তি। পুলিশ তো 'দুষ্কৃতী'দের পরিচয় পেয়েই 'থ' বনে গিয়েছেন। অভিযোগকারী ধীরেন ওঁরাওয়ের দাবি, গ্রেফতার করলেই হবে না। চরম শাস্তি দাবি দিতে হবে।
সব শুনে পুলিশ জানিয়েছে, বণ্য প্রাণীদের কী কের গ্রেফতার করা যায়! ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা তো শুধুমাত্র মানুষদের জন্য। বন্যপ্রাণীদের ক্ষেত্রে বনকর্মীদের সাহায্যে আটকে করে অভয়ারণ্যে ছেড়ে আসা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে থানার বিশেষ কিছু করার নেই। বাধ্য হয়েই ধীরেন ওঁরাও এবার বন দফতরের দ্বারস্থ হয়েছেন।
কিন্তু কী অপরাধ মোটুরাম, গব্বর, ছোটা হাতিদের? ধীরেনবাবু বলেন, প্রথম প্রথম তো বেশ ভালোই লাগত ওঁদের। সমস্যা তৈরি হয় সম্প্রতি। রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো বাঁদররা এবার বেড়া ভেঙে ঢুকে পড়ছে ঘরে। থালা-বাটি ছড়িয়ে কেড়েকুড়ি সব খেয়ে নিচ্ছে। রীতিমতো দলবল নিয়ে ঘুরছে এখন গব্বর-রা। তাঁদের জ্বালায় এখন অতিষ্ট লাটাগুড়িবাসী। থানা থেকে ব্যর্থ মনোরথ হয়ে ফিরে, বাসিন্দারা তাই বন্যকর্মীদের দ্বারস্থ হয়েছেন, যদি সুরাহা মিলে।