ভরদুপুরে চার লাখ টাকা ছিনতাই তারকেশ্বরে, গণধোলাই, ধৃত দুই
স্থানীয় সূত্রে খবর, তারকেশ্বরের চাউলপট্টিতে দোকান রয়েছে স্বপন ক্ষেত্রপালের। তিনি গতকাল তাঁর দোকানের কর্মী সন্দীপ সামন্তকে ব্যাঙ্কে পাঠান চার লাখ টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে আনতে। টাকা তুলে মোটর সাইকেলের ডিকিতে ভরে সন্দীপবাবু রাস্তা দিয়ে আসছিলেন। দোকানের কাছাকাছি আসতেই দু'টি বাইকে করে চারজন যুবক আসে। তারা ভোজালি দেখিয়ে সন্দীপবাবুর কাছ থেকে চার লাখ টাকা কেড়ে নেয়। তিনি চিৎকার শুরু করলে লোকজন জড়ো হয়ে যায়। দোকানের মালিক স্বপন ক্ষেত্রপালও ছুটে আসেন। বেগতিক দেখে ওই চার দুষ্কৃতী পালিয়ে যায়। জনতা পিছু ধাওয়া করে। দু'জনকে ধরে ফেলা হয়। বাকি দু'জন টাকা নিয়ে পালায়।
ঘটনাস্থলেই শুরু হয় গণধোলাই। মারের চোটে দু'জনের মুখ ফেটে গিয়ে রক্ত পড়তে থাকে। খবর পেয়ে তারকেশ্বর থানা থেকে ছুটে আসে পুলিশ। উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। ওই দু'জনের নাম যথাক্রমে রানা দাস ও বলু দাস। প্রথম জনের বাড়ি হুগলী স্টেশনের লাগোয়া। দ্বিতীয়জনের বাড়ি পাণ্ডুয়ার ইটাচুনা এলাকায়। যে দু'জন পালিয়েছে, তাদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
তারকেশ্বর এলাকায় ইদানীং চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গিয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। কিছুদিন আগে এই চাউলপট্টি থেকেই এক ডাক্তারের বাইক চুরি হয় দিনের বেলা। বি পি আর গেটের কাছে একটি সোনার দোকান ভেঙে সর্বস্ব লুঠ করে পালিয়েছিল চোরেরা। এর জেরে এলাকার ব্যবসায়ীরা স্মারকলিপিও দেন থানায়। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। চুরি, ছিনতাইয়ের পাশাপাশি বেড়েছে ইভ টিজিংয়ের ঘটনাও।