বিজেপি ও তৃণমূল কয়েনের এপিঠ-ওপিঠ! এনআরসি নিয়ে ‘নতুন খেলা’র তত্ত্ব সেলিমের
বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলেই এনআরসি করবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ বিজেপি নেতাদের কথায় এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। অথচ এনআরসির বিরোধিতা করেও আমাদের মুখ্যমন্ত্রী চুপ।
বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলেই এনআরসি করবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ বিজেপি নেতাদের কথায় এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। অথচ এনআরসির বিরোধিতা করেও আমাদের মুখ্যমন্ত্রী চুপ। দিলীপ ঘোষদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছেন না তিনি। বিজেপি আর তৃণমূলকে এ প্রসঙ্গে কয়েনের দু-পিট বলে চিহ্নিত করলেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম।
তিনি এনআরসির এই কাদা-ছোঁড়াছুঁড়িকে একেবারে অন্য চোখে দেখছেন। তিনি মনে করছেন দুই দলই সমান। এক কয়েনের এপিট-ওপিট হল বিজেপি ও তৃণমূল। তাঁর এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সেলিম তবু তাঁর দাবতে অনড়। তাঁর দাবি, নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূল একই পথে চলছে।
তাঁর কথায়, বিজেপি এনআরসি নিয়ে তোপ দাগছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার লোক দেখানো বিরোধিতা করছে। তৃণমূল যদি সত্যিই বিরোধিতা করত, এতদিন দিলীপ ঘোষেদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করত। কিন্তু তা করেনি। বিজেপি এনআরসি নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। তার ফেল বহু মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে তবু চুপ সরকার।
সেলিমের যুক্তি, সারদা-নারদ থেকে নিজেকে ও ভাইপোকে বাঁচাতে এবং কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারকেও আড়াল করতে এই এনআরসি খেলায় মেতেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষ সরব হয়েছেন এর বিরুদ্ধে, বামেরা লড়াই করছে। আর তৃণমূল শুধু গা বাঁচানো খেলা চালিয়ে যাচ্ছে।