মমতাকে লেখা বিজয়নের চিঠি কোনও প্রেমপত্র নয়! প্রকাশ্য বিরোধ বাংলা-কেরল লবির
নাগরিকত্ব ইস্যুতে মহাবিতর্ককে ঘিরে যখন গোটা দেশ উত্তাল, তখনই দুই যুযুধান প্রতিপক্ষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে সাক্ষাৎ হতে পারে কলকাতায়।
সিএএ বিরোধী আন্দোলনে একযোগে সামল হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। মমতাকে লেখা বিজনের চিঠিতে চরম অস্বস্তিতে বাংলার সিপিএম শিবির। কেননা বাংলার সিপিএম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোর বিরোধী। সিএে প্রতিবাদে উভয়ে এক হলেও মমতাকে দোষারোপ করতে ছাড়ছে না সিপিএম।
মমতায় অচ্ছ্যুৎ নন বিজয়ন
এখন কেরলের সিপিএম মমতায় অচ্ছ্যুৎ নন একথা বুঝিয়ে দিয়েছেন বিজয়ন। কিন্তু বালার সিপিএমের সায় নেই মমতার সঙ্গে আন্দোলনে যাওয়ার। তাই সিপিএম পলিটব্যুরো নেতা মহম্মদ সেলিম সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি কোনও প্রেমপত্র নয়, এটা সিএএ বিরোধী সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা হয়েছে।
মমতা-সখ্যতায় বিরোধী অবস্থানে
অর্থাৎ কেরল ও বেঙ্গল লবি যে মমতা-সখ্যতায় বিরোধী অবস্থানে বিরাজ করবে, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মহম্মদ সেলিম। সিলেম জানিয়েছেন, সিএএ বিরোধিতা করছে কেরলও, বিরোধিতা করছে বাংলাও। তাই সিএএ বিরোধিতায় কেরলের মুখ্যমন্ত্রী অন্য মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে চিঠি লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। এর সঙ্গে রাজনৈতিক সমীকরণের কোনও সম্পর্ক নেই।
সিএএ ইস্যুতে মিল শাসক-বিরোধীর
ইতিমধ্যেই বিজয়নের ডাকে সাড়া দিয়েছেন অনেকেই। তিনি নিজে ইতিমধ্যেই কেরল বিধানসভা সিএএ বাতিলের প্রস্তাব পাস করিয়েছেন। একজন বিজেপি বিধায়ক বাদে সর্বসম্মতিক্রমেই সেই প্রস্তাব পাস হয়েছে। জানানো হয়েছে ওই আইন সংবিধানের মূলনীতির বিরোধী। এই সিএএ ইস্যুতে মিলে গিয়েছে কেরলের শাসক-বিরোধী।
সিএএ বাতিল প্রস্তাব পাস করলেই স্পষ্ট হবে
মমতাকে চিঠি লেখা প্রসঙ্গে সূর্যকান্ত বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে বিধানসভায় এমন একটা প্রস্তাব পাস করুন। তারপর ভাবা যাবে। রাজ্য সরকার তো সিএএ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করেছে লোক দেখানো আন্দোলন করছেন মমতা। সিএএ বাতিল প্রস্তাব পাস করলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে বিষয়টি।
তৃণমূল আগে দুরকম ভূমিকা ছাড়ুক
মহম্মদ সেলিম বলেছেন, বামেরা ৮ জানুয়ারি ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। তৃণমূল এবার তাদের অবস্থান স্পষ্ট করুক। তারা যদি সত্যিই সিএএ ও এনআরসি বিরোধী হয়, তবে তাদের আন্দোলনে সামিল হন। ঘুরিয়ে ধর্মঘটের সমর্থন চেয়ে নিয়েছেন মহম্মদ সেলিম। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল লুকোচুরি খেলছে। ভাবের ঘরে চুরি করছেন। তৃণমূল আগে দুরকম ভূমিকা ছাড়ুক।