শুভেন্দু ডাবল চোর! তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপি-আরএসএস যোগসূত্রের ব্যাখ্যায় তোপ সেলিমের
শুভেন্দু ডাবল চোর! তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপি-আরএসএস যোগসূত্রের ব্যাখ্যায় তোপ সেলিমের
তৃণমূল আর বিজেপিকে একই বন্ধনীতে রেখে আক্রমণ শানালেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, গুজরাতে, উত্তরপ্রদেশে, মধ্যপ্রদেশে যা দেখেছি এখন তা দেখছি বাংলায়। রাজ্যের মানুষ দাঙ্গা চায় না। তাঁদের কাছে রুটি-রুজি এবং দুর্নীতির প্রশ্ন অনেক বড়। এ রাজ্যে তো তৃণমূলের ঝান্ডা নিয়ে দুর্নীতি করে বিজেপিতে যায় আর বিজেপি থেকে দুর্নীতি কর তৃণমূলে আসে।
উৎসবের মরশুমের বাংলার মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছে তাঁরা দাঙ্গাবাজদের পক্ষে নয়। বিজেপি এখন রাস্তায় নেমেছে বিভাজনের রাজনীতি করতে। এখন লড়াই চলছে কে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হবে। তা নিয়ে রেষারেষি। তৃণমূল কংগ্রেস একটা দল, তার দুটো গোষ্ঠী। একটা দল তৃণমূলের ঝান্ডা ধরবে আর একটা দল বিজেপিকর ঝান্ডা ধরবে। তারপর অদলবদল হবে। আমরা মুকুল রায় আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে যেটা দেখেছি।
মহম্মদ সেলিম বলেন, বাংলায় বিষাদের ছায়া দু্র্গাপুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই। মালবাজারে যেভাবে কার্নিভাল করতে গিয়ে প্রাণ গেল, তার দায় ও দায়িত্ব কে নেবে? তারপর পুজো মিটতেই দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হল। কেন আগাম কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না। এ প্রশ্নও তুললেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
তাঁর কথায়, পুলিশ ব্যর্থ বলে চিৎকার করা হচ্ছে, আমরাও বলছি পুলিশ ব্যর্থ। তাহলে কেন এনডিআরএফ নামানো হল না। পুজোর ভাসানের সময় ভিড় হবে সবাই জানে। তাহলে কেন প্রস্তুত রাখা হল না এনডিআরএফকে। বিপর্যয় ঘটলে তারপর ব্যবস্থা নেওয়া কি যায়? বিপর্যয় হতে পারে সেই আশঙ্কা থেকে কেন আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, প্রশ্ন তাঁর। তেমনই মোমিনপুরের ক্ষেত্রেও আগাম কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কেন নেওয়া হয়নি কার্নিভাল চলছে বলে?
মহম্মদ সেলিম এদিন শুভেন্দু অধিকারীকেও একহাত নেন। তিনি বলেন, নোটবন্দির সময় কাঁথির ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান হিসেবে যে টাকা খেয়েছিল, তা নিয়ে কেন তদন্ত হল না। আমি তো বলেছিলাম দিল্লিতে। অমিত শাহ কথা দিয়েছিলেন, কিন্তু ব্যবস্থা নেননি। তখন তো উনি তৃণমূলের নেতা ছিলেন। আসলে তখন থেকেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল তিনি বিজেপিতে যাচ্ছেন। আর এখন রাজ্য সরকার ওকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। কারণ একটা গুজব চলছে না। ডিসেম্বরে মধ্যে কিছু একটা হবে। নতুন তৃণমূল, নতুন বিজিপি। আসলে এসব রাজ্যের ওয়ার্ক আউট। রাজ্যে নতুন তৃণমূল আর নতুন বিজেপি নিয়ে উত্তেজনা তৈরি করা হচ্ছে। তাঁর মধ্যে আছেন উনিও। উনি চাইছেন রাজ্যে দাঙ্গা হোক, আগুন লাগুক, মানুষ মরুক, চুরি হোক জোরচুরি হোক। আর উনি চাইছেন ওনাকে কেন দিল্লি থেকে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে না ক্ষমতায়।
শুভেন্দু তো কিছুদিন আগে মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুরে তৃণমূলের হয়ে মুসলমানদের প্যাকেজ করতেন, যেটা তৃণমূলে মুকুল রায় আগে করতেন। এখন ইনসাফকে এত ভয় কেন, আরএসএস এই সব শব্দে ভয় পায়। ন্যায়, ইনসাফ, জাস্টিস নিয়ে কারা ব্যথিত হয়, যাঁরা অন্যায় করছে। যাঁরা চুরি করছে। আমরা বারবার বলছি চোরের রাজনীতির রং ধরলে হবে না। শুভেন্দুর মতো লোক তো ডাবল চোর। তৃণমূলের হয়ে চুরি করেছেন, এখন বিজেপিতে গিয়ে চুরি করছেন।
মহম্মদ সেলিম বলেন, শুধু মোমিনপুরে নয়, গোটা দেশজুড়ে ইনসাফ হবে। উনি তো একুশে জুলাইয়ের পূজারি ছিলেন। এখন না হয় দেবতা পাল্টেছেন। কাঠামোটো একটাই। শুভেন্দু বসে আছেন, কখন দিল্লি থেকে তালটি পড়বে। আর উনি গাছেরটিও খাবেন, তলারটিও কুড়াবেন। কেউ কেউ আছেন সিবিআই ডাকলে বিজেপিতে চলে যাবেন, সিআইডি ডাকলে তৃণমূলে। এদের নিয়ে কোনও মন্তব্য করে লাভ নেই।
মোমিনপুরের ঘটনার পিছনে রয়েছে আল কায়দা আইএসআইএসের হাত, দাবি শুভেন্দুর