মোদী, শাহর টুরিস্ট গ্যাং ঘুরছে বাংলায়! রাজ্যের বকেয়া নিয়ে সরব ডেরেক ও'ব্রায়েন
রাজ্যের হাজার হাজার কোটি টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে কেন্দ্রের ঘরে। তৃণমূল সরকারের এই দাবি দীর্ঘদিনের। এদিন হিসেব দিয়ে সেই দাবিই ফের তুললেন তৃণমূলের (trinamool congress) রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন (derek o'brien)। একই সঙ্গে তিনি টুইটে বাইরের রাজ্য থেকে এই রাজ্যে আসা বিজেপি নেতাদের টুরিস্ট গ্যাং বলেও কটাক্ষ করেছেন।

রাজ্যের বকেয়া মেটানোর দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী
রাজ্যের তৃণমূল সরকারের দাবি কেন্দ্রের কাছে হাজার হাজার কোটি বকেয়া রয়েছে। সেই বকেয়ার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে সরব হতে দেখা গিয়েছে। বকেয়া মিটতে অনেক কাজ সুষ্ঠুভাবে করা যেত বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শেষ ভার্চুয়াল বৈঠকেও মুখ্যমন্ত্রী বকেয়ার কথা তুলেছিলেন।

হিসেব দিয়ে বয়েকার দাবিতে সরব ডেরেক
এদিন টুইট করে বয়েকার দাবিতে সরব হয়েছেন ডেরেক ও'ব্রায়েন। হিসেব দিয়ে তিনি বলেছেন, সর্বশিক্ষা অভিযানে ১৪৫২০ কোটি, সমগ্র শিক্ষা মিশনে ৯৭০ সকোটি, মিড ডে মিলে ২৩৩ কোটি, স্বচ্ছ ভারত মিশনে ২৭৫ কোটি, মনরেগায় ৬৩১ কোটি, আমরুতে ২৫৪ কোটি, ছিটমহল বিনিময়ে ১৮৮ কোটি, বিআরজিএফ-এ ২৩৩০ কোটি, পারফরমেন্স গ্র্যান্টে ১,০১৭ কোটি, বেসিক গ্র্যান্টে ৪৩৮ কোটি, নিকাশি ও বন্যা ব্যবস্থাপনায় ১,২৩৮ কোটি, সেচপথ ও জলপথে ৩৮২ কোটি, বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিপূরণে ৬,৩৩৪ কোটি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণে ৩৫৮ কোটি, রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনায় ৪০৫ কোটি এবং কেন্দ্রের সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্পে ৩,৯৪২ কোটি। এছাড়াও জিএসটি-সহ অন্য ক্ষতিপূরণের অঙ্ক নিয়ে মোট ৮৫, ৭২০ কোটি টাকা।

মোদী শাহকে কটাক্ষ
পাশাপাশি এদিনের টুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও কটাক্ষ করেছেন ডেরেক। তিনি বলেছেন টুরিস্ট গ্যাং বাংলায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। ওদের উচিত বাংলার বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া।

রাজ্যে সংগঠন মজবুত করতে জোর
একদিকে বিজেপি যখন রাজ্যে সংগঠন মজবুত করতে জোর দিচ্ছে, সেই সময় তৃণমূলের অন্দরমহলে দ্বন্দ্বের কালো মেঘ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রশান্ত কিশোর এবং তার দলের কাজের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানাচ্ছেন জনপ্রতিনিধিরা। প্রশান্ত কিশোরের লোকজন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের ম্যানেজ করতে ছুটছেন বিক্ষুব্ধদের বাড়িতে বাড়িতে। এদিন যেমন তারা গিয়েছেন শীলভদ্র দত্তের বাড়িতে। অন্যদিকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সংগঠনের ফাঁক ফোকর বোজাতে প্রথমে পাঁচ কেন্দ্রীয় জোনের দায়িত্ব পাঁচ নেতাকে দেয়। তাঁরা রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর ক্ষমতায় থাকা পাঁচ রাজ্যের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদকদের রাজ্যে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়াও ২৯৪ টি আসনের দায়িত্ব নির্দিষ্ট নেতাদের ওপরে ছাড়া হচ্ছে। যা নিয়ে তৃণমূলের তরফে বারবার বহিরাগত বলে কটাক্ষ করা হচ্ছে এইসব বিজেপি নেতাদের।

বেলাগাম দিলীপ, সৌগত রায়কে প্রকাশ্যে 'মোষ' বলে আক্রমণ বিজেপির রাজ্য সভাপতির