কর্ণাটকের ফলের দিনে মোদীর মুখে পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোট! দিদিকে কী বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
কর্ণাটক নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বলতে উঠে মোদি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে গণতন্ত্রের হত্যা ছাড়া কিছু বলে যায় না।
পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনে 'গণতন্ত্রের হত্যা' করা হয়েছে। ঠিক এই ভাষাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে বিধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ওই নির্বাচনে মানুষের ওপর নিদারুন অত্যাচার করা হয়েছে। এমনকী মনোনয়নপত্র জমা দিতেও বাধা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার, কর্ণাটকের নির্বাচনের ভাল ফলের পর দিল্লির বিজেপি সদর দফতরে ছিল উৎসবের আমেজ। এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ সহ অনেক তাবড় বিজেপি নেতা। সেখানেই বিজেপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে একটি ভাষণ দেন মোদী। মূলত কর্ণাটকের ভোট নিয়ে বললেও হঠাত করেই তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোট প্রসঙ্গ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি আরও একটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই। সেটা হল পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচন। এটাকে গণতন্ত্রের হত্যা ছাড়া কিছু বলা যায় না। মনোনয়ন পর্ব থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত, কোথায় ছিল গণতন্ত্র? মানুষের ওপর নির্যাতন চলেছে।'
What transpired during the Panchayat elections in West Bengal is disturbing and worrisome. From the nomination stage to the day of polling, the democracy was the only fatality: PM Shri @narendramodi pic.twitter.com/S861qheyIQ
— BJP (@BJP4India) May 15, 2018
এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, 'মনোনয়নপত্র দাখিল করতেও দেওয়া হয়নি। কেবল বিজেপিই যে ভুগেছে তা নয়। বাংলার শাসক দল ছাড়া সমস্ত বড় দলের মানুষকে খেসারত দিতে হয়েছে। পরিস্থিতি কিন্তু অত্যন্ত গুরুতর। দুর্ভাগ্যজনক যে, পশ্চিমবঙ্গের মতো পূন্যভূমিকে এমন ছবি দেখতে হল । নির্বাচনে জয়ী হওয়াটাই শেষ কথা নয়। গণতান্ত্রিক চেতনা সম্পন্ন সবাইকে গণতান্ত্রকে শক্তিশালী করতে একত্রিত হতে হবে। শুধু দলের স্বার্থ দেখলে চলবে না।'
অথচ কর্ণাটকে পূর্ণ ফল বেরনোর আগেই তড়িঘড়ি বিজেপিকে যিনি প্রথম শুভেচ্ছা বার্তাটি পাঠিয়েছিলেন, তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। যার ফলে ফের বিজেপি-তৃণমূলের 'ফুলে ফুলে ঢলাঢলি' নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। ভারসাম্য রাখতেই কি মোদী বিকেলে আবার একটু 'কুস্তি'-মূলক বার্তা পাঠালেন?