শিলিগুড়ির পর কোচবিহার! সরকারি কর্মীদের মন পেতে 'ত্রিপুরা কৌশল' মোদীর
রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা এবং বেতন কমিশন ইস্যুকে কাজে লাগাতে মরিয়া বিজেপি। রাজ্যে ষষ্ঠ বেতন কমিশন লাগুর দাবিতে চলেছে আন্দোলন।একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতারও দাবি করছেন সরকারি কর্মীরা।
রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা এবং বেতন কমিশন ইস্যুকে কাজে লাগাতে মরিয়া বিজেপি। রাজ্যে ষষ্ঠ বেতন কমিশন লাগুর দাবিতে চলেছে আন্দোলন।
একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতারও দাবি করছেন সরকারি কর্মীরা। সেই দাবির পাশেই বিজেপি তথা প্রধানমন্ত্রী। শিলিগুড়ির পর কোচবিহারের সভা থেকেও এই প্রসঙ্গ তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী।
ত্রিপুরায় আশ্বাস কার্যকর
ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির প্রচারে অন্যতম আশ্বাস ছিল তারা ক্ষমতায় আসলে কেন্দ্রের কর্মীদের মতোই সপ্তম বেতন কমিশন লাগু করা হবে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘভাতাও দেওয়া হবে। সেই মতো কাজও চলেছে।
মোদীর খোঁচা
৩ এপ্রিল শিলিগুড়ির সভা থেকে সরকারি কর্মীদের মহার্ঘভাতা ও বেতন নিয়ে অসন্তোষের কথা তুলে ধরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে ত্রিপুরারও নাম উল্লেখ করেন। একইভাবে রবিবার কোচবিহারে প্রচারের সময়ও তিনি এই বিষয়টি ফের উল্লেথ করেন। রবিবার আরও অভিযোগ করে মোদী বলেন, এখানে পরীক্ষা দিয়েও চাকরি মিলছে না।
[আরও পড়ুুন:লোকসভায় বাড়ছে তৃণমূল, উত্থান বিজেপির, সি-ভোটারের সমীক্ষায় অদ্ভুত সমাপতন]
অমিত শাহের আশ্বাস
শুধু প্রধানমন্ত্রীই নয় এর আগে রাজ্য সফরে এসে বিষয়টি নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সভাপতি অমিত শাহ। বলেছিলেন, বাংলায় ক্ষমতায় এলেই প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকেই সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর করা হবে। সেই সভায় সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি।
নির্বাচনের মুখে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ক্ষোভের কথা বিলক্ষণ জানেন প্রধানমন্ত্রী। সেই ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে বড় সংখ্যক সরকারি কর্মীর মনজয়ের চেষ্টা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ২০১৫-র ২৭ নভেম্বর রাজ্যে ষষ্ঠ বেতন কমিশন গঠন করা হয়েছিল। যদিও বারবার সেই কমিশনের সময় বাড়ানো হয়েছে। রিপোর্ট এখনও জমা পড়েনি।
[আরও পড়ুন: বাংলা থাকছে তৃণমূলের দখলে! বিজেপি কটি আসন পাবে, একনজরে সি-ভোটারের সমীক্ষা]