মুর্শিদাবাদে গড়ে উঠছে অত্যাধুনিক হিমঘর, সংরক্ষণ হবে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ
মূর্শিদাবাদে গড়ে উঠছে অত্যাধুনিক হিমঘর, সংরক্ষণ হবে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ
কিছুদিন পর্যন্তও মধ্যবিত্তদের হেঁশেলে টান পড়েছিল পেঁয়াজের। কারণ পেঁয়াজ তখন ছিল মহার্ঘ। এখনও খুব একটা দাম না কমলেও কিছুটা সাধ্যের মধ্যে বাজার থেকে কিনতে পাওয়া যাচ্ছে পেঁয়াজ। পেঁয়াজের ঘাটতি পূরণের জন্য এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের সঙ্কটের মুখোমুখি আর না হতে হয় তার জন্য উদ্যোগ নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। মুর্শিদাবাদ জেলায় গড়ে তোলা হবে আদ্রতা–নিয়ন্ত্রিত হিমঘর। যেখানে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রাখার সুবিধা থাকবে।
সরকারি এক আধিকারিক জানান, ২০২১ সাল থেকে এই হিমঘর পরিচালিত করা হবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি পরামর্শদাতা প্রদীপ কুমার মজুমদার, 'পেঁয়াজের জন্য এ ধরনের সুবিধাযুক্ত বিশেষ হিমঘর দেশে এই প্রথম তৈরি হবে। এই হিমঘরে ৫০ হাজার টনেরও বেশি পেঁয়াজ সংরক্ষণ করে রাখার ক্ষমতা থাকবে।’ তিনি আরও বলেন, 'হঠাৎ করে যদি পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায় তবে এই হিমঘর থেকেই ড্যামেজ কন্ট্রোল করা হবে। আলুর থেকে অনেকটাই আলাদা, দীর্ঘ সংরক্ষণের জন্য পেঁয়াজের আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ ৫৫ শতাংশ হতে হবে।’ এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করবে বেসরকারি সংস্থা। তিনি বলেন, 'জমি প্রস্তুত রয়েছে, ইটালি থেকে প্রযুক্তি নিয়ে আসা হবে এবং এই প্রকল্পটি গড়ে তুলতে শীঘ্রই আর্থিক বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হবে।’
প্রসঙ্গত গত বছর অসময়ের বৃষ্টির জন্য মহারাষ্ট্রের নাসিকে বিপুল পরিমাণে পেঁয়াজের ক্ষতি হয়। এখান থেকেই বিভিন্ন রাজ্যে পেঁয়াজ আমদানি করা হত। কিন্তু পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে কৃষকদের যেমন ক্ষতি হয় তেমনই পাইকারি ও খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম আকাশ ছোঁয়া হয়ে যায়। এক কেজি পেঁয়াজের দাম ওঠে কমপক্ষে ১২০–১২৫ টাকা করে। যার ফলে গৃহস্থের রান্নাঘরে পেঁয়াজ ছাড়াই রান্না হতে শুরু করে। অভাব পূরণ করতে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার বাইরের দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার উদ্যোগ নেয়।
প্রয়াত বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রী