ভূমিকম্পে কাঁপল উত্তরবঙ্গ এবং উত্তরপূর্ব ভারত, আতঙ্কে রাস্তায় বাসিন্দারা
করোনা আবহেও রাজ্যে চলছে শেষ দফার ভোটের প্রস্তুতি। এরই মধ্যে ভূমিকম্প (earthquake)। বুধবার সকালে উত্তরবঙ্গের (north bengal) বিভিন্ন জায়গায় কম্পন অনুভূত হয়। ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসেন বাসিন্দারা। সকাল ৭.৫৩ নাগাদ এই কল্পন
করোনা আবহেও রাজ্যে চলছে শেষ দফার ভোটের প্রস্তুতি। এরই মধ্যে ভূমিকম্প (earthquake)। বুধবার সকালে উত্তরবঙ্গের (north bengal) বিভিন্ন জায়গায় কম্পন অনুভূত হয়। ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসেন বাসিন্দারা। সকাল ৭.৫১ নাগাদ এই কল্পন অনুভূত হয়। বেশ কিছুক্ষণ স্থায়ী হয় এই কম্পন। এখনও পর্যন্ত কোথাও থেকে কোনও রকমের জীবনহানি কিংবা সম্পত্তি হানির কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
উৎপত্তি স্থল অসম
এদিনের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল অসমের শনিতপুর বলে জানা গিয়েছে। রিখটারস্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ৬.৪। তেজপুরের ৪৩ কিমি পশ্চিমে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৭ কিমি নিচে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল বলে জানা গিয়েছে। বেশ কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয় ভূমিকম্প।
গুয়াহাটিতে বেশ কিছু বাড়িতে ফাটল
সূত্রের খবর অনুযায়ী, পরপর দুটি ভূমিকম্প অনুভূত হয় গুয়াহাটি-সহ অসমের বিস্তীর্ণ এলাকায়। দ্বিতীয় ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬.৭। তেজপুরের ৩৮ কিমি পশ্চিম উত্তর-পশ্চিমে ভূপৃষ্ট থেকে ১০ কিমি নিচে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল। এই ভূমিকম্পে বেশ কিছু বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভূমিকম্পের অনুভূতি
এদিনের ভূমিকম্পের অনুভূতি হয় উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলাতেই। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পের অনুভূতি মুর্শিদাবাদেও
দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। সেখানেই বাসিন্দারা বাড়ি থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন। এই ভূমিকম্পকে আফটার শক বলেই মনে করা হচ্ছে।