কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে চললেন বিধায়ক! শুভেন্দুর হানায় নিজ-গড়ে আরও ‘দুর্বল’ অধীর
ফের অধীর গড়ে শুভেন্দুর হানা। আবারও ভাঙছে কংগ্রেস। কংগ্রেস ছেড়ে আরও এক বিধায়ক পাড়ি দিচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। জেলা পর্যবেক্ষক তথা পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর হাত থেকে রবিবারই তৃণমূলের পতাকা তুলে নিচ্ছেন কংগ্রেস বিধায়ক শাওনি সিংহ রায়।

[আরও পড়ুন:বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণের প্রথম ধাপ, উন্নয়নশীল শিরোপায় এগিয়ে চলার ডাক হাসিনার]
ফলে নিজভূমে আরও দুর্বল হয়ে পড়তে চলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। যতই পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসছে, মুর্শিদাবাদের কংগ্রেসি দুর্গে ফাটল স্পষ্ট হয়ে উঠছে। একে একে কংগ্রেস ছেড়ে বিধায়ক-নেতা-কর্মীরা যোগ দিচ্ছেন তৃণমূল শিবিরে। ক-দিন আগেই কংগ্রেসের আরও এক বিধায়ক অপূর্ব সরকার দল ছেড়েছিলেন। এবার লালবাগের বিধায়ক শাওনি সিংহরায় পাড়ি দিচ্ছেন তৃণমূলে।
গত ৮ মার্চ কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকারকে তৃণমূলে যোগদান করিয়ে শুভেন্দু অধিকারী হুঙ্কার ছেড়েছিলেন মুর্শিদাবাদে তিনি কংগ্রেসের পতাকা ধরার লোক রাখবেন না। তিনি যে ফাঁকা গর্জন ছাড়েননি, তা দিন দিন বুঝিয়েই চলেছেন। এর আগে গত বিধানসভা নির্বাচনে সাগরদিঘির কংগ্রেস প্রার্থী আমিনুল ইসলামকেও দলে টানেন শুভেন্দু।
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ সামসুল হুদাকে কংগ্রেসে ফিরিয়ে নিয়ে অইধীর চৌধুরী বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূলকে। তারপরই একে একে আমিনুল ইসলাম, অপূর্ব সরকার, এবার শাওনি সিংহরায়কে কংগ্রেস শিবির থেকে ছিনিয়ে নিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ক্রমেই মুর্শিদাবাদের মতো কংগ্রেস অধ্যুষিত জেলাতেও তৃণমূলের প্রভাব বেড়ে চলেছে। মূলত কংগ্রেস ভেঙেই শক্তিবৃদ্ধি করছে তৃণমূল। হাইকমান্ড কাছাকাছি এলেও, তৃণমূল এই কংগ্রেস-ভাঙার ধারা অব্যাহত রাখা ভবিষ্যতে দুই কংগ্রেসের পক্ষে কাছে আসার বিষয়টি অন্তরায় হয়ে উঠবে আবার।