ফের সব্যসাচী ছাড়লেন মোক্ষম বাণ! ঘরের ‘প্রতিপক্ষ’কে খোঁটা, বাইরের ‘বন্ধু’কে শুভেচ্ছা
২৪ ঘণ্টাও কাটল না, ফের তৃণমূলকে ভেঙে খান খান করে দিলেন মুকুল রায়। এবার মুকুলের থাবা অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে।
সব্যসাচী দত্ত আছেন নিজের মেজাজেই। লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই নিজেকে নিয়ে তৈরি করেছেন ধোঁয়াশা, এখনও তিনি চমক দিয়ে চলেছেন নানা তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যে। তাঁকে নিয়ে সংশয়ের জবাব দিয়েছেন ভোটে, নিজের কেন্দ্রে তৃণমূলকে লিড পাইয়ে দিয়েছেন, তারপর তিনি তোপ দেগেছেন দলে তাঁর 'প্রতিপক্ষ' বিধায়ক-মন্ত্রীকে নিশানা করে।
ঘরের ‘প্রতিপক্ষ’কে খোঁটা,
একটিবারও তাঁর নাম মুখে করেননি। কিন্তু প্রকারান্তরে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি কাকে ইঙ্গিত করছেন। নেত্রীর নাম করে তিনি বলেন, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যা কথা দেন, তা রাখেন। তিনি বলেছিলেন, যাঁরা নিজের নিজের বিধানসভা এলাকায় লিড দিতে পারবেন না, তাঁদের টিকিট নিয়ে সংশয় রয়েছে।
লিড দিলে টিকিট, না দিলে...
এরপরই সব্যসাচী বলেন, আমার বিধানসভা এলাকায় আমি লিড দিয়েছি, নিশ্চয়ই আমার বিধানসভার টিকিট নিয়ে কোনও কথা হবে না। কিন্তু যে বা যাঁরা তাঁদের বিধানসভা এলাকায় লিড দিতে পারলেন না, তাঁদের নিয়ে কী করবেন, তাঁকে কি ফের প্রমোশন দেওয়া হবে দলে।
বাইরের ‘বন্ধু’কে শুভেচ্ছা
একই সঙ্গে তিনি বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের পুত্র শুভ্রাংশু রায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সব্যসাচী দত্ত বলেন, শুভ্রাংশু আমার ভাইপোর মতো। তাই শুভ্রাংশু যে দলেই থাকুন, ভালো থাকুন। উল্লেখ্য, উত্তর ২4 পরগনার বীজপুরের বিধায়ক রাজনৈতিক জীবনের প্রথম থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। লোকসভা ভোটের পর তাঁকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল। এরপর মঙ্গলবার তিনি যোগদান করেন বিজেপিতে। আর তারপরই সব্যসাচী দত্তের এই প্রতিক্রিয়া বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
মুকুল সঙ্গে জোর জল্পনা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সব্যসাচী দত্তকে নিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছিল। এক সন্ধ্যায় তাঁর বাড়িতে আচমকা মুকুল রায়ের হাজির হওয়া, লুচি-আলুর দম খেয়ে আসার পরই তাঁর বিজেপিতে যোগদান জল্পনা ও প্রার্থী হওয়ার জল্পনা মাথাচাড়া দেয়। যদিও সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে তিনি তাঁর এলাকায় তৃণমূলকে লিড পাইয়ে দেন এবং বুঝিয়ে দেন, তিনি আছেন তৃণমূলেই। একইসঙ্গে তিনি দলের অন্দরের লড়াইও জারি রাখেন।