লোকসভার আগে বাংলায় 'টাস্ক' বেঁধে দিলেন সুকান্ত! উত্তরে যা বললেন মিঠুন
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। যদিও বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট। আর এই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মাথায় রেখেই ফের একবার বাংলায় ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া বঙ্গ বিজেপি শিবির। আর সেই লক্ষ্যেই কাজ করছেন শুভেন্দু-সুকান্তরা। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে ভ
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। যদিও বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট। আর এই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মাথায় রেখেই ফের একবার বাংলায় ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া বঙ্গ বিজেপি শিবির। আর সেই লক্ষ্যেই কাজ করছেন শুভেন্দু-সুকান্তরা। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরেই সংগঠনে বড়সড় ধাক্কা লেগেছে।
আর এর মধ্যেই বিজেপি গোষ্ঠী কোন্দল কার্যত আরও মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে।
এমনকি দলের মধ্যে অবিশ্বাসের বাতাবরণ বড় আকার নিয়েছে। সব মিলিয়ে বঙ্গ বিজেপিতে এখন যেন ভাটার পরিস্থিতি। আর এই অবস্থায় মিঠুন চক্রবর্তীকে সামনে রেখেই ফের একবার দলে জোয়ার আনতে মরিয়া সুকান্তরা। আর তাই দীর্ঘ কয়েক বছর পর ফের একবার বঙ্গ বিজেপিতে মহাগুরু। আর তাঁকে সামনে রেখেই এবার পঞ্চায়েত-লোকসভায় ঝড় তুলতে মরিয়া বঙ্গ শিবির! মনে করছে রাজনৈতিকমহল।
যদিও বিষয়টি নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাতে নারাজ শাসক তৃণমূল। সোমবার বিকেলে কলকাতায় বিজেপি দফতরে পৌঁছন মিঠুন। তাঁকে স্বাগত জানাতে নেতা-কর্মীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন সুকান্ত মজুমদার। মিঠুন দেখে জড়িয়ে ধরেন তিনি। এমনকি ফুল দিয়েও স্বাগত জানান রাজ্য সভাপতি।
কার্যত এরপরেই রুদ্ধদ্বার বৈঠক শুরু হয়। যেখানে সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও ছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ, রাহুল সিনহার মতো একাধিক শীর্ষ নেতা। তবে সে বৈঠকে কি নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা অবশ্য জানা যায়নি। এমনকি মিঠুনও কোনও মন্তব্য করতে চাননি। বৈঠকের পরেই সাংবাদিক বৈঠকে মুখোমুখি হন বিজেপি নেতা।
এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কার্যত কৌশলি জবাবই শোনা যায় তাঁর মুখে। মিঠুন বলেন, কিছু আমাকে কাজ দেওয়া হয়েছে। তবে কি কাজ সে বিষয়ে কিছুই বলতে চাননি তিনি। তবে মহাগুরু আরও জানিয়েছেন, 'অনেক কিছু রয়েছে। সব বলা যাবে না। বাকি কর্মীদের মতোই আমিও একজন বিজেপি কর্মী। তবে কথা হয়েছে। দিল্লি যা বলব সে ভাবেই কাজ হবে না বলে দাবি তাঁর। তবে বিধানসভায় বঙ্গ বিজেপি ফল নিয়ে দলের মধ্যেই ক্ষোভ থাকলেও খুশি অভিনেতা।
তাঁর দাবি, আমি খুব খুব খুশি। বিজেপি ২ থেকে ৭৭-এ পৌঁছেছে। তবে একেবারে মিরাক্কেল হতে পারে না বলে দাবি মিঠুনের। তবে হতে পারত বলে মনে করেন তিনি। পাশাপাশি রাজনীতি নয়, নীতি কথা তিনি বলেও এদিন মন্তব্য বিজেপি নেতার। তবে পঞ্চায়েত কিংবা লোকসভার আগে যেভাবে কর্মীরা মুঝড়ে পড়েছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মিঠুন চক্রবর্তীও।
তাঁর মতে, দলের মধ্যে নেতাকর্মীরা আরও একটু উৎসাহ পেলে ভালো হত। তবে এবার মনে হয় উৎসাহ বাড়বে। কিন্তু কীভাবে! তা অবশ্য এদিন স্পষ্ট করেননি মহাগুরু।
তবে এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রে অনেক বেশি সংযত দেখা গিয়েছে তাঁকে। আক্রমণাত্বক নয়, বরং শান্ত গলাতেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন মিঠুন। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।