করোনা সংক্রমণের মধ্যে আড়ম্বর নয়! পুজোয় অনুদানের টাকা প্রথম ফেরত দিল যে ক্লাব
পুজোর অনুদান (puja grant) নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা পর্যন্ত দায়ের হয়েছিল। সেখানে দেওয়া হলফনামায় রাজ্য সরকারের তরফে কারণ পরিবর্তন করা হয়েছিল। জানানো হয়েছিল মাস্ক, স্যানিটাইজেশনের জন্য এই টাকা ক্লাবগুলোকে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেই অনুদানের কাটা ফেরৎ দিয়ে নজির তৈরি করল হাওড়ার এক ক্লাব। হাওড়ার বাজে শিবপুরের মিতালি সংঘ ( Baje Shivpur Mitali Sangha) জানিয়েছে, দুর্যোগের সময় পুজোর অনুদানের প্রয়োজন নেই তাদের।

টাকা ফেরাল হাওড়ার ক্লাব
টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে পুজোর প্রাঙ্গনে ফ্লেক্স টানিয়েছে বাজে শিবপুরের মিতালি সংঘ। সেখানে বলা হয়েছে, এই অন্ধকারে আড়ম্বর নয়। আরও জানানো হয়, এই ক্লাব শুধুমাত্র সভ্যদের কাছ থেকেই অনুদান নিয়ে থাকে। তাই প্রশাসনের ৫০ হাজার টাকা অনুদান ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া তারা অনুদানের জন্য আবেদনও করেনি।

দুঃস্থদের পাশে দাঁড়াক রাজ্য সরকার
ক্লাব কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, দুর্যোগের পরিস্থিতিতে এই অনুদানের টাকা তাদের প্রয়োজন নেই। এই টাকা দিয়ে দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়াক রাজ্য সরকার। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বহু মানুষ এই ক্লাবের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছে।

পুজোর অনুমতির আবেদনে ক্যানসেলড চেক
পুজো কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, পুলিশের কাছে পুজোর অনুমতির আবেদন জানানোর সময়, ক্যানসেলড চেক দিতে হয়েছিল। সেই পথেই তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যায়।

ক্লাবের সভ্যদের সিদ্ধান্ত
কিন্তু পরবর্তী সময়ে ক্লাবের সভ্যরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন এই সরকারি অনুদানের টাকা তারা নেবেন না। রাজ্য সরকারকে সেই টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারা বলছেন, করোনা পরিস্থিতিতে অনেকের কাজ নেই। অনেকেই খেতে পাচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিতে এইভাবে টাকা খরচ হওয়াটা অর্থের অপচয় ছাড়া কিছুই নয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসা
বাজে শিবপুরের মিতালি সংঘের এই উদ্যোগের প্রশংসা করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিশিষ্ট আইনজীবী তথা রাজ্যসভায় সিপিএম সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্য আশাপ্রকাশ করে বলেছেন, এইপথে অন্য ক্লাবগুলিও সরকারি টাকা অপব্যয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবে।

ক্লাবগুলিতে অনুদানের কথা ঘোষণা সেপ্টেম্বরের শেষে
সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের ক্লাবগুলোকে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, গতবার এই অনুদান ছিল ২৫ হাজার টাকা। এবার তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে তিনি হকার, আশাকর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার, ভিলেজ পুলিশ, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের জন্য পুজোর সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন।

কলকাতা থেকে জেলা - বাংলার দুর্গাপুজোর নানা মুহূর্তের ছবি দেখুন একনজরে