মিশন ২০১৬: বাংলা কাঁপাতে ফেব্রুয়ারিতে নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সমাবেশ
এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে পুরোদমে ময়দানে নেমে পড়ছে বিজেপি। একদিকে তৃণমূল কংগ্রেসকে আরও ঠেসে ধরা, অন্যদিকে পাড়ায়-পাড়ায় সংগঠন জোরদার করতে কর্মসূচি নিচ্ছে বিজেপি। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ নিজে গোটা রণকৌশল পরিচালনা করবেন।
বিজেপি সূত্রে খবর, ফেব্রুয়ারি মাসে ব্রিগেডে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর ওই জনসভা থেকেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের ঘণ্টা বাজিয়ে দেবে বিজেপি। ২০১৬ সালের মে মাসে রাজ্যে বিধানসভা ভোট। অর্থাৎ ১৬ মাস আগে থেকেই কোমর কষে নেমে পড়বে তারা। আর ডিসেম্বরে ঝাড়খণ্ড এবং জম্মু-কাশ্মীরের ভোট মিটে গেলে প্রতি মাসে একবার করে কলকাতায় আসবেন অমিত শাহ। রাহুল সিনহা, শমীক ভট্টাচার্য, বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী, সুভাষ সরকার প্রমুখ রাজ্য নেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলার নেতাদের নিয়ে নিয়মিত বৈঠক করবেন।
পশ্চিমবঙ্গে এখন আক্ষরিক অর্থেই 'সোনালি সময়' চলছে বিজেপির। যে দল এক সময় রাজ্যে ছিল প্রান্তিক শক্তি, তাদের ছাতার তলায় এখন মানুষ আশ্রয় নিচ্ছে। মূলত দু'টি কারণে এই ঘটনা ঘটছে। প্রথমত, তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে যে প্রবল ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তার সুযোগ নিয়ে রাজ্য সংগঠন চাঙ্গা করতে নেমে পড়েছেন রাহুলবাবুরা। দ্বিতীয়ত, নরেন্দ্র মোদীর ক্যারিশমা বা মোদী-ম্যাজিক। সব রাজ্যের মতো এখানেও নরেন্দ্র মোদীকে দেখে মানুষ ভোট দেবে। ফলে বাংলায় আশা দেখাচ্ছে বিজেপি।
আগামী ৩০ নভেম্বর 'উত্থান দিবস' পালন করবে বিজেপি। অমিত শাহ থাকবেন ওইদিন। আশা করা হচ্ছে, অন্তত তিন লক্ষ লোক হবে। আবার ২০ ডিসেম্বর শহীদ মিনার ময়দানে আরএসএস একটি জনসভা করবে। সংগঠনের প্রধান মোহন ভাগবত আসবেন। তার পরই ফেব্রুয়ারিতে ব্রিগেডে আসবেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেডের দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। পরে তা সংবাদমাধ্যমকে জানানো হবে।
ওই একই সময়ে ব্রিগেড সমাবেশ করার কথা রয়েছে তৃণমূলেরও। আবার ৮ মার্চ সিপিএমের ব্রিগেড সমাবেশ। রাজনীতির কুস্তিতে কে সম্মানে পাশ করে, সেটা দেখতে প্রবল কৌতূহলী সবাই।