ফিল্মি কায়দায় পিস্তল উঁচিয়ে আইসিইউতে ঢুকে তাণ্ডব দুষ্কৃতীদের, আতঙ্ক হাসপাতালে
আহতকে নিয়ে শ্রীরামপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে আসে একদল। এরপর যথারীতি আহতের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। তারপরও কেন দুষ্কৃতীরা পিস্তল উঁচিয়ে তাণ্ডব?
চিকিৎসার নামে হাসপাতালে ঢুকে ফিল্মি কায়দায় পিস্তল উঁচিয়ে তাণ্ডব চালাল দুষ্কৃতী দল। হুগলির শ্রীরামপুরের মানিকতলা এলাকায় এক বেসরকারি নার্সিংহোমে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটে। নার্সিংহোমের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে সেই ছবি। সিসিটিভির ফুটেজ দেখেই হামলাকারীদের ধরতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অপরাধীদের শনাক্ত করা হয়ে গিয়েছে। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
আহতকে নিয়ে শ্রীরামপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে আসে একদল। এরপর যথারীতি আহতের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু তারপরও কেন দুষ্কৃতীরা পিস্তল উঁচিয়ে তাণ্ডব চালাল তা স্পষ্ট নয়। আইসিইউ-তে ঢুকে পিস্তল উঁচিয়ে হুমকি দিতে দেখা যায় দুষ্কৃতীদের। এই ঘটনায় অন্যান্য রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চিকিৎসক ও হাসপা্তালের অন্যান্য কর্মীদের মধ্যেও।
শনিবার বাইকের ধাক্কায় এক যুবক জখম হন। পা ও মুখে আঘাত লাগা ওই রোগীকে আনা হয় বেসরকারি নার্সিংহোমে। তারপর প্রাথমিক চিকিৎসা করে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তারপরই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হাসপাতালে ঢুকে পড়ে একদল দুষ্কৃতী। আইসিইউ-তে পর্যন্ত ঢুকে যায় তারা। নার্সিংহোমের দুই কর্মীকে মারধরও করে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে, হামলাকারীদের ক্ষোভের কারণ যথাযথ চিকিৎসা হয়নি। চিকিৎসা না করেই তাদের রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তারপর নার্সিংহোমে ঢুকে দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পর কর্মীরা তাদের রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। সেটাই আসলে ক্ষোভের কারণ।
পুলিশ জানার চেষ্টা করছে, কারা এই ঘটনার মূলে। রোগীর পরিজনদের হাতে পিস্তল আসে কী করে! পুলিশের ধারণা এটা কোনও দুষ্কৃতীদলের কাজ। নার্সিংহোমের পক্ষ থেকে শ্রীরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। চিকিৎসক-নার্স থেকে শুরু করে নার্সিংহোমের কর্মীরা জানান, তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।