নিজেই গড়ে আক্রান্ত নেতা! মার খেলে পিছিয়ে আসবেন না, বিজেপিকে আর যা বললেন অনুব্রত
নিজেরই আদি বাড়িতে যাওয়ার সময় আক্রান্ত খয়রাশোল ব্লকের তৃণমূল সভাপতি দীপক ঘোষ। মাথায়, ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের কোপ দেওয়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়
নিজেরই আদি বাড়িতে যাওয়ার সময় আক্রান্ত খয়রাশোল ব্লকের তৃণমূল সভাপতি দীপক ঘোষ। মাথায়, ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের কোপ দেওয়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এই হামলায় বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বিজেপি এই ধরনের কোনও ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়, দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
সর্বক্ষণের তৃণমূল কর্মীকে সঙ্গে করে বাইকে কেন্দ্র গড়িয়ার আদি বাড়িতে যাচ্ছি খয়রাশোল ব্লক তৃণমূলের সভাপতি দীপক ঘোষ। রাস্তায় বাইকে আসা তিন দুষ্কৃতী বাইক থামিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। প্রথমে দীপক ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। পরে সঙ্গীকে সরিয়ে দীপক ঘোষকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে খয়রাশোল ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে।
খবর পেয়েই খয়রাশোলের উদ্দেশে রওনা দেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, দীপক তার অন্যতম হাত। হুমকির সুরে তিনি বলেন, তার নাম অনুব্রত মণ্ডল। তিনি মারামারি করতে চান না। কিন্তু কেউ মারলে পিছিয়ে যাবেন না। আক্রান্ত দীপক ঘোষ তাঁর অন্যতম হাত বলে জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।
জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ঘটনায় বিজেপিকেই দায়ী করেছেন। তাঁর অভিযোগ, এলাকায় বিজেপির কোনও সংগঠন না থাকলেও বাইরে থেকে দুষ্কৃতী এনে তাদের দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। এলাকার ১১ টি পঞ্চায়েতের সবকটি তৃণমূলের দখলে বলে জানিয়েছেন তিনি।
যদিও অনুব্রত মণ্ডলের সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি।
গতবছরে দুষ্কৃতীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন এই দীপক ঘোষ। চোখে গুলি লেগেছিল তাঁর। সেই সময়ও বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছিল। যদিও স্থানীয় অনেকে জানিয়েছিলেন, গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরেই ঘটনাটি ঘটে। দুষ্কৃতী হামলায় মৃত্যু হয়েছিল দীপক ঘোষের দাদারও।