সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে অভিযোগ জানাল মৎস্যজীবী সমিতি
সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে অভিযোগ জানাল মৎস্যজীবী সমিতি
দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখল পূর্ব মেদিনীপুরের মৎস্যজীবী সমিতি। মৎস্যজীবীদের উন্নয়নের জন্য মোটা অর্থের সরকারি অনুদান নিয়ে দুর্নীতি করা হয়েছে, এ বিষয়ে মৎস্যজীবীরা মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান বলে চিঠিতে দাবি করেছেন।
চিঠিতে অভিযোগ জানিয়ে বলা হয়েছে যে, ২০১৬–১৭ এবং ২০১৮–১৯ সালের মধ্যে ন্যাশনাল কোপারেটিভ ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন (এনসিডিসি) প্রকল্পের আওতায় 'ট্রাডিশনাল মেরিন ফিশ প্রোডাকশন ফেজ ৩’ এবং 'ইন্টাগ্রেডেড মেরিন ফিসারিজ ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট ফেজ ৬’ এই দুটি প্রকল্প নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরে বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে। এই প্রকল্পের অন্তর্গত মৎস্যজীবীরা ঋণ এবং সরকারি সাহায্য পাবেন। মৎস্যজীবী সমিতি অভিযোগে জানিয়েছে যে, কিছু অসাধু কর্মকর্তা রাজ্য মৎস্য দফতরের আধিকারিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মৎস্যজীবীদের ঋণ বন্ধ করে দিয়েছে। প্রসঙ্গত এই প্রকল্পগুলি সুবিধাভোগী এবং প্রাথমিক সামুদ্রিক মৎস্যজীবী সমবায় সদস্যদের মাছ ধরার নৌকা, জাল এবং ইঞ্জিনগুলির জন্য অর্থ সরবরাহ করে থাকে। 'ট্রাডিশনাল মেরিন ফিশ প্রোডাকশন ফেজ ৩’–এ ছোট নৌকা এবং 'ইন্টাগ্রেডেড মেরিন ফিসারিজ ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট ফেজ ৬’–এ বড় নৌকা কিনতে পারবে মৎস্যজীবীরা। সুবিধাভোগী মৎস্যজীবী এই প্রকল্পের আওতায় দু’ভাবে টাকা পাবে, এক হল ঋণ, যা ফেরত দিতে হবে ব্যাঙ্ককে এবং অন্যটি হল সরকারি অনুদান।
এই দুই প্রকল্পের আওতায় গত দু’বছরে ২০১৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মোট সরকারি অনুদান দাঁড়াচ্ছে ১,৩১৪.৮৮ লক্ষ। চিঠিতে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, 'এর মধ্যে কিছু টাকা খুব অল্প সংখ্যক মৎস্যজীবীই পেয়েছে। কিন্তু মোট ১৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।’ মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে যে রাজ্য দফতরের কর্মীরা সবকিছু জানার পরও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি। এই আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা সংগঠনের সভাপতি দেবাশিষ শ্যামল আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন যে এই বিষয়টি প্রশাসনের উচ্চতরে নিয়ে যাওয়া হবে, হয়ত তার জন্য তাঁর ওপর দুষ্কৃতি দিয়ে হামলাও করানো হতে পারে। এই বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর নজরেও আনা হয়েছে। মৎস্যজীবী সংগঠন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই দুর্নীতির তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার অনুরোধও করেছিল।