সর্বদল বৈঠকের দিনই মিরিক পুরসভা ওড়ানোর ছক, বরাত জোরে রক্ষা
পাহাড়ে মিরিক পুরসভা লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করলেও, বরাত জোরে রক্ষা পায় তৃণমূল পরিচালিত এই পুরসভা।
পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে নবান্নে যখন সর্বদল বৈঠক চলছে, তখনই মিরিক পুরসভা ওড়ানোর চেষ্টা করল দুষ্কৃতীরা। যদিও পুরসভা লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করলেও, বরাত জোরে রক্ষা পায় তৃণমূল পরিচালিত এই পুরসভা। মঙ্গলবার দুষ্কৃতীদের বিস্ফোরণের এই পরিকল্পনা খাটেনি বোমা না ফাটায়। তাই মিরিক পুরসভার রেহাই মেলে বিস্ফোরণের হাত থেকে।
এদিন পুরসভায় বোমা নিক্ষেপ করার পর বোমা ফাটেনি ঠিকই, কিন্তু শুরু হয়ে যায় বোমাতঙ্ক। সঙ্গে সঙ্গে সিআইডি-র বম্ব স্কোয়াড ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। খালি করে দেওয়া হয় পুরসভা। বম্ব স্কোয়াডের সদস্যরা এরপর বোমা নিষ্ক্রিয় করে। বোমাটিতে কী ধরনের বিস্ফোরক ছিল, তা তদন্ত করে দেখছে সিআইডি।
পাহাড় নিয়ে বৈঠকের আবহের মধ্যেই একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে। দার্জিলিং চকবাজার থেকে শুরু করে কালিম্পংয়ে গ্রেনেড হামলা ও আইইডি হামলা ঘটে। পেশকে ব্রিজ উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা হয়, সুখিয়াপোখরি থানায় বিস্ফোরণ ঘটে। কয়েকদিন বিরতির পর সর্বদল বৈঠকের দিন পাহাড়ে ফের হামলার ছক কষা হল। এবার টার্গেট ছিল মিরিক পুরসভা।
পর পর বিস্ফোরণের ঘটনায় মোর্চা প্রধান বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। জারি হয়েছে খুনের মামলাও। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে গুরুং জঙ্গলে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন বলে প্রশাসনের অনুমান। এরই মধ্যে এক অডিও-বার্তায় গুরুংয়ের হুমকি পাহাড়ে নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। এরপর মোর্চা নেতা বিনয় তামাং যখন মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে নবান্নে সর্বদল বৈঠকে অংশ নিয়েছেন, তখন মিরিক পুরসভায় বিস্ফোরণের চেষ্টা ফের অশনি সংকেত আনল পাহাড়ে।