সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি এ রাজ্যে বিজেপিকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দিয়েছে, স্বীকার প্রশান্ত কিশোরের
বামেরা ক্ষমতায় থাকায় সময় সংখ্যালঘু ভোট তারাই পেত। এখন তা ঘুরে তৃণমূলের ঘরে। বিজেপির তরফে বারেবারে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ করা হয়েছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার যে অডিও পাওয়া গিয়েছে, তাতে তা স্বীকার করে নিয়েছেন তৃণমূল
বামেরা ক্ষমতায় থাকায় সময় সংখ্যালঘু (minority) ভোট তারাই পেত। এখন তা ঘুরে তৃণমূলের (trinamool congress) ঘরে। বিজেপির তরফে বারেবারে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ করা হয়েছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার যে অডিও পাওয়া গিয়েছে, তাতে তা স্বীকার করে নিয়েছেন তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (prashant kishor)। তবে এই অডিও-সব সত্যতা যাচাই করেনি বেঙ্গলি ওয়ান ইন্ডিয়া। প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, বিকৃত করে অডিও ক্লিপ প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন পুরো অডিও ক্লিপ প্রকাশ করার।
রাজ্যে সংখ্যালঘু তোষণ হয়েছে
রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিকদলগুলি সংখ্যালঘু তোষণ করেছে। এতদিন এমনটাই দাবি করে এসেছে বিজেপি। এবার সেই দাবিতেই সিলমোহর প্রশান্ত কিশোরের। অডিও টেপে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, তিনি বলেছেন, সব থেকে বড় সমস্যা, সবাইকে যা মেনে নিতে হবে, তা হল, গত ২০ বছর ধরে রাজ্যে সংখ্যালঘু তোষণ করা হয়েছে।
মুসলিম ভোট যে দিকে, তাদেরই সরকার
বাম শাসনের পুরো সময়েই দেখা গিয়েছে মুসলিম প্রধান এলাকাগুলির আসন বামেরাই জিতেছে। পরিবর্তনের বছরে অর্থাৎ ২০১১-তে এই ভোটের কিছু তৃণমূলের দিকে সরে যায়। তারপরেই প্রায় সব ভোটেই দু-একটি ঘটনা বাদ দিলে সংখ্যালঘু প্রধান আসনগুলি তৃণমূলের দখলে গিয়েছে। ফলে সাফাই দেওয়া হয়েছে, মুসলিম ভোট যেদিকে সরকারও সেই দিকে, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনে প্রশান্ত কিশোরকে এমনটাই বলতে শোনা গিয়েছে।
ব্যবহার করছে বিজেপি
প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, কংগ্রেসই হোক কিংবা সিপিএম সবাই মুসলিম ভোট দখল করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ফলে বিরুদ্ধে বিজেপি, তাকেই ব্যবহার করতে নেমে পড়েছে। বিজেপি তারই সুযোগ নিচ্ছে। এটা কেউই অস্বীকার করতে পারবে না। মন্তব্য প্রশান্ত কিশোরের।
এবারের ভোটেও সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে টানাপোড়েন
৩
এপ্রিল
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
তারকেশ্বরে
গিয়ে
সংখ্যালঘুদের
নিয়ে
যে
মন্তব্য
করেছিলেন,
তা
নিয়ে
কমিশন
নোটিশ
দেয়।
ওই
সভায়
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
মুসলিমদের
কাছে
বিজেপিকে
ভোট
না
দিতে
আহ্বান
জানান।
হাত
জোর
করে
তাঁকে
বলতে
শোনা
যায়,
সংখ্যালঘু
ভাই
ও
বোনেরা
সংখ্যালঘু
ভোট
ভাগ
করবেন
না।
নাম
না
করে
আইএসএফ-এর
প্রতিষ্ঠাতা
আব্বাস
সিদ্দিকিকে
নিশানা
করে
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
বাচাল
ছেলে
বলে
কটাক্ষ
করেছিলেন।
পাশাপাশি
বিজেপির
কাছ
থেকে
টাকা
নেওয়ারও
অভিযোগ
করেছিলেন।
পাশাপাশি
তাঁর
অভিযোগ
ছিল
সিপিএমও
বিজেপির
থেকে
টাকা
নিয়ে
সংখ্যালঘুভোট
ভাগ
করতে
ঘুরে
বেড়াচ্ছে।
অন্যদিকে
শুভেন্দু
অধিকারীকেও
নোটিশ
পাঠায়
নির্বাচন
কমিশন।
প্রসঙ্গত
শুভেন্দু
অধিকারীর
প্রচারের
চলে
এসেছিল
পাকিস্তান
প্রসঙ্গ।
তিনি
বলেছিলেন
ক্রিকেট
ম্যাচে
পাকিস্তান
জিতলে
যাঁরা
মোবা
ফাটায়
তাঁরাই
এখন
তৃণমূলকে
নিয়ন্ত্রণ
করে।
পাকিস্তান
প্রেমিরা
২২
টি
বুথের
মালিক
বলেও
মন্তব্য
করেছিলেন
তিনি।
লিকড অডিও নিয়ে প্রশান্ত কিশোরও ও ছুঁড়ে দিলেন মোক্ষম বাণ, বিজেপিকে দিলেন তাবড় চ্যালেঞ্জ