তৃণমূল নেতার ছেলের জন্মদিনের পার্টিতে 'ধর্ষণ', পরে নাবালিকার মৃত্যু! চাপের মুখে দেহ 'দাহ'তে উঠছে একাধিক প্রশ্ন
তৃণমূল নেতার ছেলের জন্মদিনের পার্টিতে 'ধর্ষণ', পরে নাবালিকার মৃত্যু! চাপের মুখে দেহ 'দাহ'তে উঠছে একাধিক প্রশ্ন
তৃণমূল(trinamool congress) নেতার ছেলের জন্মদিনের পার্টি। সেখানেই তাঁর নাবালিকা প্রেমিকাকে ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ। এমন কী অত্যধিক রক্তপাত শুরু হলে, হাসপাতালে না নিয়ে যেতে চাপ দেওয়া অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত ওই নাবালিকার মৃত্যু হলে, জোর করে দাহ করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। অভিযুক্ত নদিয়ার হাঁসখালির একনম্বর ব্লকের গাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য সমর গোয়ালার ছেলে ব্রজগোপাল গোয়ালা।
জন্মদিনের পার্টিতেই 'ধর্ষণ'
গত সোমবারের ঘটনা। জন্মদিনের পার্টি দিয়েছিল প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার ছেলে ব্রজগোপাল। নাবালিকার পরিবার জানিয়েছে, সেখানেই বেশ কয়েকজনের সঙ্গে নাবালিকা প্রেমিকাকেও আমন্ত্রণ জানায় সে। সেই দিন সন্ধেয় বগুলা থেকে এক মহিলা এবং কয়েকজনকে দিয়ে বাড়ির মেয়েকে ব্রজগোপালদের বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে যাওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পরেই ব্রজগোপালের বাড়ির লোকেরা জানায় মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা
নাবালিকার সঙ্গে যিনি বা যাঁরা গিয়েছিলেন, তাঁরা নাবালিকাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন। নাবালিকার পরিবারের দাবি, ব্রজগোপালের বাড়ির তরফে নাবালিকাকে কোনও হাসপাতালে নিয়ে যেতে মানা করা হয়। তাকে কোনও হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে বলা হয়। সেই মতো হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা। সেই চিকিৎসকও জানিয়ে দেন রক্তক্ষরণের জেরে নাবালিকার অবস্থা সংকটজনক। বাড়িতে ফিরিয়ে আনার পরে ভোররাতেই নাবালিকার মৃত্যু হয়।
বাড়ি থেকেই দেহ নিয়ে গিয়ে শ্মশানে দাহ
নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, মেয়ের মৃত্যুতে সবাই যখন বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন, সেই সময় বেশ কয়েকজন ছেলে বাড়িতে এসে দেহ সৎকারে চাপ দিতে থাকে। বাড়ির হাফ কিমির মধ্যে থাকা শ্মশানে কোনও ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এমন কী ছাইও সরিয়ে ফেলা হয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতা এবং তাদের দলবল এই কাজ করে বলে অভিযোগ করেছে নাবালিকার পরিবার।
চাইন্ড লাইনের আশ্বাসে হাঁসখালি থানায় অভিযোগ
নাবালিকার পরিবার জানিয়েছে, শেষ পর্যন্ত চাইল্ড লাইন কর্মীরা মনের জোর দেওয়ায় তাঁরা হাঁসখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরিবারের অভিযোগ মেয়েকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। কেননা তৃণমূল নেতার ছেলের জন্মদিনের পার্টিতে বেশ কয়েকজন বন্ধুও আমন্ত্রিত ছিল। তবে তাঁদের অভিযোগ, হাঁসখালি থানার ওসি গণধর্ষণের অভিযোগ নিতে চাননি। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
উঠছে একাধিক প্রশ্ন
প্রথমেই
প্রশ্ন
উঠছে
মঙ্গলবার
ভোররাতে
মৃত্যুর
পরে
নাবালিকার
বাড়িতে
গিয়ে
দেহ
দাহের
জন্য
চার
দিল
কারা,
কারাই
বা
ডেথ
সার্টিফিকেট
ছাড়াই
দেহ
দাহ
করল?
তথ্য
প্রমাণ
লোপাটের
জন্যই
কি
পোস্ট
মর্টেম
ছাড়াই
তাড়াতাড়ি
দেহ
দাহ
করা
হল?
থানায়
লিখিত
অভিযোগ
নিতে
দেরি
কেন,
কে
পুলিশ
এফআইআর
দায়ের
করল
না?
শাসক
দলের
নেতার
ছেলে
বলেই
কি
অভিযুক্ত
এখনও
পুলিশের
নাগালের
বাইরে?
প্রতীকী ছবি