দিদিমণি, আমি পড়তে চাই! মেয়ের এক ‘বুদ্ধি’র জোরেই নাবালিকা বিয়ের ছক বানচাল
মেয়ে পড়তে চায়, নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায়। কিন্তু নাবালিকা মেয়ের সেই ইচ্ছাকে প্রাধান্য না দিয়েই বিয়ে চূড়ান্ত করে ফেলেছিল পরিবার। এখনও যে মাধ্যমিক পরীক্ষায় দেয়নি সে।
মেয়ে পড়তে চায়, নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায়। কিন্তু নাবালিকা মেয়ের সেই ইচ্ছাকে প্রাধান্য না দিয়েই বিয়ে চূড়ান্ত করে ফেলেছিল পরিবার। এখনও যে মাধ্যমিক পরীক্ষায় দেয়নি সে, চোখেমুখে বড় হওয়ার স্বপ্ন, এখনই বিয়ে! মানতে না পেরে একটা উপস্থিত বুদ্ধি প্রয়োগ করে ছাত্রী। তাতেই নাবালিকা রুখে দিল নিজের বিয়ে।
সামনের বছর তার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা। পরিবার এখনই বিয়ের স্থির করে ফেলায়, ব্যাঙ্কে যাওয়ার নাম করা সটান স্কুলে হাজির হয় ছাত্রী। ষোড়শী ছাত্রী স্কুলের শিক্ষিকাকে জানায় পুরো ঘটনা। তারপরই সেই শিক্ষিকা ব্যবস্থা নেন। নাবালিকা বিয়ে আটকাতে আসরে নামেন নদিয়ার তেহট্টের জয়েন্ট বিডিও।
পেশায় দিনমজুর তেহট্টের গোপালপুরের খোকন শিকদার নাবালিকা মেয়ের বিয়ের স্থির করেছিলেন। তাঁর যুক্তি ছিল মেয়েকে পড়াশোনা করার সামর্থ কোথায়। তাই বিয়ে দিয়ে দিলে তিনি নিশ্চিন্ত। ব্যবসায়ী সু-পাত্রের সন্ধানও পেয়েছিলেন। কিন্তু পাত্রীই তো বেঁকে বসে আছে, সে বিয়ে হবে কী করে!
[আরও পড়ুন:নিক-প্রিয়াঙ্কার বিয়েতে 'ওয়েলকাম গিফট' কী জানেন, দেখুন ভিডিও]
বাবার মুখের উপর কথা বলার সাহস পায়নি বটে, তবে শিক্ষিকাকে জানিয়ে দিয়েছিল সব। তারপরই হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিল শ্রীদাম বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী অশোকা। কাঁদতে কাঁদতে স্কুলে এসে শিক্ষিকা সুকন্যা মুখোপাধ্যায়কে জানিয়েছিলেন সব। বলেছিল, বাবা-মা জোর করে বিয়ে দিচ্ছে, দিদিমণি, আমি পড়তে চাই। তারপর অনেক বোঝানোর পর মেয়ের বিয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে অশোকার পরিবার।