দূরত্ব বাড়ছে তৃণমূল-সাধন পাণ্ডের! 'দুয়ারে সরকারের' অলিন্দে আরও চওড়া ঘাসফুল শিবিরের ফাটল
এদিন মুচিবাজারে দুয়ারে সরকারের প্রকল্পের কাজ চলাকালীন ফের জনসমক্ষে চলে এল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল। এদিন কলকাতা পৌর এলাকার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটর অনিন্দ রাউতের অনুগামীদের সঙ্গে বচসা এবং পরবর্তীতে হাতাহাতিতে জড়ান রাজ্যের ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে।
দায়িত্ব না পেয়েই ক্ষুব্ধ সাধন?
আজকের এই ঘনটার প্রেক্ষিতে তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর অমল চক্রবর্তী বলেন, দিদি দায়িত্ব দিচ্ছেন না, পৌর প্রশাসক ববি (ফিরহাদ হাকিম) দায়িত্ব দিচ্ছেন না। তাই মন্ত্রীকে কেউ ভুল বোঝাচ্ছেন যে তাঁর দাম কমে গিয়েছে দলে। তাই তিনি বারবার মাথা ঠিক রাখতে পারছেন না। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল, কোনও ব্যক্তি বিশেষের নয়।
বচসায় জড়ানোর অভিযোগ ওঠে সাধন পাণ্ডের বিরুদ্ধে
এদিকে এই ঘটনার সময় ঘটাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না তৃণণূলের কোঅর্ডিনেটর অনিন্দ রাউত। উল্লেখ্য, এই অনিন্দ রাউতের অনুগামীদের সঙ্গেই বচসায় জড়ানোর অভিযোগ ওঠে সাধন পাণ্ডের বিরুদ্ধে। পরে এই ঘটনা প্রসঙ্গে অনিন্দ রাউত বলেন, এটা দীর্ঘ মেয়াদী প্রোগ্রাম। উনি বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছেন। উনি এখানে এসে কাজ করতে পারবেন না। আমরা সারা দিন ধরে কাজ করছি। উনি ১০ মিনিট থেকে চলে যাবেন, তাতে কী করে হয়।
কী কারণে ঝামেলা হয়?
এদিকে এদিনের ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন মুচিপারা এলাকার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে যান মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। যেখানে নথি জমার কাজ চলছিল, সেখানে ঢুকতে যান সাধন পাণ্ডে এবং তাঁর নিরাপত্তারক্ষী ও সমর্থকরা। তখন সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা অনিন্দ রাউতের সমর্থকরা মন্ত্রীর সঙ্গে থাকা কাউকে ঢুকতে বাধা দেন।
দুয়ারে অশান্তি
অনিন্দ রাউতের সমর্থকদের দাবি ছিল সেই স্থানে অত লোক ঢুকলে করোনা বিধি লঙ্ঘিত হবে। তাই তাঁরা বাধা দিয়েছিলেন। এতেই বাঁধে গোল। এই সময় মন্ত্রী সাধন পাণ্ডেকে প্রশ্ন করতে গেলে তিনি এক সাংবাদিকদের উদ্দেশে তেড়ে গিয়েছিলেন। পরে অবশ্য এই বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, দুয়ারে প্রোগ্রাম, মন্ত্রী হিসাবে গিয়েছিলাম, ভালো কাজ হচ্ছে।
শুক্রবারও প্রায় একই ঘটনা ঘটেছিল
এদিকে শুক্রবারও প্রায় একই ঘটনা ঘটেছিল। 'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উল্টোডাঙ্গায় প্রকাশ্যে চলে আশে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে সরকারি নথি। কলকাতা পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে 'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচি চলাকালীন প্রকাশ্যে আসে শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
বিবাদের নেপথ্যে মূল কারণ
উল্লেখ্য, তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল এবং মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের মধ্যে দ্বন্দ্ব সর্বজনবিদিত। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে অনেকদিন ধরেই বেসুরো গাইছেন মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। এই পরিস্থিতিতে আজকের এই ঘটনা নতুন পর্যায়ে নিয়ে গেল বিবাদকে। উল্লেখ্য, শুক্রবারই পরেশ পালকে আইনি নোটিস পাঠালেন ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের মেয়ে শ্রেয়া পাণ্ডে।
মেদিনীপুর বনাম কালীঘাট, 'দাদার অনুগামীদের' সরিয়ে শুভেন্দুকে বার্তা মমতার