‘এক চুটকিতে লাশ ফেলে দেব’, খোদ মন্ত্রীকেই খুনের হুমকি! প্রশ্নে আইনশৃঙ্খলা
বেশি বাড়াবাড়ি করলে লাশ ফেলে দেব। একটা লাশ ফেলে দিতে এক মিনিটও সময় লাগবে না। তারপর মোবাইলেও উড়ে এল সেই হুমকি।
এ যেন উলট-পুরান। এবার রাজ্যের মন্ত্রীকেই হুমকি দিলেন পাচারকারী। আবার যে সে হুমকি নয়, পাচারকারীরা সাফ জানিয়ে দিল, বেশি বাড়াবাড়ি করলে লাশ ফেলে দেব। একটা লাশ ফেলে দিতে এক মিনিটও সময় লাগবে না। তারপর মোবাইলেও উড়ে এল সেই হুমকি। এই ঘটনায় তাজ্জব মন্ত্রী জাকির হোসেন। এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও উঠে পড়ল প্রশ্ন।
তিনি রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী। সম্প্রতি গরু পাচার বন্ধে তিনি সরব হয়েছিলেন। আর তার জেরেই তাঁকে হুমকি দেওয়া হল। মোবাইলে এবং লোক পাঠিয়ে জাকির হেসেনেক লাশ ফেলে দেওয়ার হুমকি দিলেন গরু পাচারকারীরা। মন্ত্রীকে বলা হল- 'গরু পাচার নিয়ে একটা কথাও বলবেন না। ভালোয় ভালোয় মুখ বন্ধ করুন। না হলে বাইরে থেকে সুপারি কিলার এনে লাশ ফেলে দেব। এক চুটকিতে লাশ পড়ে যাবে।'
এরপরই আতঙ্কিত মন্ত্রী মুর্শিদাবাদ পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানিয়েছেন। কারা এই হুমকির মূলে তা জানতে জেলা পুলিশের তরফে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এই বিষয়ে উঠে এসেছে- শাসক শিবিরের একটা শ্রেণির মদতেই চলে গরু পাচার। আর তাই এত বলীয়ান পাচারকারীরা। মন্ত্রীকেও তাই হুমকি দিতে ভয় পান না তাঁরা।
বিরোধীরা এই ঘটনায় শাসক দলকেই কাঠগড়ায় তুলেছে। তাঁদের অভিযোগ, এতদিন বিরোধীরা গরু পাচারের রমরমা ও গরু পাচারকারীদের দাপট নিয়ে সরব হতেন। তখন শাসক দল তা কেয়ারও করেননি। এবার সেই আগুন লাগল তাঁদের মন্ত্রীর পিছনে। এবার নিশ্চয় রাজ্য সরকার বুঝবে কত ধানে কত চাল। যাঁদের প্রশ্রয় দিয়ে এসেছে, এবার তাঁরাই ফোঁস করছে মন্ত্রীদের উপরেও।
এই ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল ফের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার এক সদস্যই নগ্ন করে দিলেন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। রাজ্য নিশ্চয়ই এবার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। প্রশাসনের এখনই খতিয়ে দেখা উচিত- এই পাচারকারীদের পিছনে কাদের মদত রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীও কিছুদিন আগে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সজাগ হতে। তবু জেলা প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করতে পারেনি।