
কর্মীদের সঙ্গে মাটিতে বসে মন্ত্রী অরূপ রায়! দিলেন ‘মানুষের নেতা’ হওয়ার শিক্ষা
কর্মীদের সঙ্গে মাটিতে বসে নেতাদের বক্তব্য শুনলেন মন্ত্রী অরূপ রায়! হাওড়ার শরথ সদনে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কর্মী-সম্মেলনে তিনি অবাক করে দিলেন এক পদক্ষেপে। মঞ্চ থেকে নেমে গিয়ে বসলেন কর্মীদের সঙ্গে নীচে। নিজেকে কর্মীদের নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা দিলেন তিনি। একইসঙ্গে শিক্ষা দিলেন 'মানুষের নেতা' হওয়ার।

রবিবার বিকেলে মধ্য হাওড়া তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়। তিনি উপস্থিত হয়ে মঞ্চের নীচে কর্মীদের সঙ্গে মাটিতে বসে সভা শুনলেন। রাজ্যের সমবায় মন্ত্রীর এহেন পদক্ষেপ মন্ত্রমুগ্ধ তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। এদিনের সভার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী।
হাওড়ার শরৎ সদনে এদিন অত্যধিক ভিড় হয়েছিল। সেই কারণে অধিকাংশ কর্মী হলের ভিতরে নির্দিষ্ট আসন না পেয়ে নীচে বসেছিলেন। মঞ্চ থেকে তা নজর এড়ায়নি মন্ত্রী অরূপ রায়ের। আচমকাই তিনি মঞ্চ থেকে নীচে নেমে আসেন। তারপর মাটিতেই বসে পড়েন দলের সাধারণ কর্মীদের পাশে। তা দেখে সাধারণ কর্মীরা খানিক ইতস্তত বোধ করেন। একইসঙ্গে খুশিও হন। মঞ্চে ভাষণ চলাকালীন পুরোটাই নীচে মাটিতে বসে বক্তৃতা শোনেন অরূপবাবু।
এদিন মন্ত্রী অরূপ রায়ের এই কীর্তি দেখে তৃণমূল নেতারা উচ্ছ্বসিত হয়ে তাঁর প্রশংসা করেন। বলেন, অরূপদা আজ দেখালেন তিনি আসলে কর্মীদের নেতা। কর্মীদের নেতা হয়ে তিনি আমাদের সবাইকে ধন্য করলেন। এমন নেতা পেলে কর্মীদের মধ্যেও উৎসাহ বেড়ে যায় কাজ করার। তবে এরই মধ্যে হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীয় প্রধান সুজয় চক্রবর্তী তাঁর বক্তব্যে দলরে মধ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। তবে তার মধ্যেই তিনি ঐক্যের বার্তা দেন।
মন্ত্রী অরূপ রায়ের উপস্থিতিতেই তিনি বলেন, দলে আমরা নিজেরাই তো নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে যাচ্ছি। আমাকে কোনও এলাকায় যেতে হলে কারও কাছ থেকে কেন অনুমতি নিতে হবে? এরপর তো এখান থেকে ওখানে যেতে হলে ভিসা লাগবে, তৃণমূলের সভায় প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমন্ডলীর প্রধান ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী।
যদিও কাদের উদ্দেশ্যে ওই মন্তব্য তা খোলসা করেননি সুজয়বাবু। তিনি বলেন, "দলে আমরা নিজেরাই নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে যাচ্ছি। আমি পুরসভার কাজে বিভিন্ন জায়গায় ছুটে যাই সেখানকার কাজ দেখতে। সেখানে কখনও কেউ আমাকে বলেন যে আমার এলাকায় এসেছেন আমাকে জানালেন না? আমার বক্তব্য পুরসভার কাজে কোথায় গেলে কেন কারও অনুমতি নেব?
তিনি আরও বলেন, "আমরা যদি হাওড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা অরূপ রায়ের নেতৃত্বে এক থাকি তাহলে কারও গায়ে আঁচড় লাগে এমন স্পর্ধা কারও আছে বলে আমি মনে করি না। ৩৪ বছরের বামফ্রন্টের জগদ্দল পাথর সরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলার মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছেন। আমার প্রশ্ন সেই স্বাধীনতা আমাদের নিজেদের জন্যই যেন আমরা পরাধীন না হয়ে যাই।"
পিসি-ভাইপোর দু’গালে দু’টি থাপ্পড়ের পর ঝালদা কংগ্রেসেরই, বার্তা বিজেপির সুকান্তের