এবার হাত ভেঙে দেওয়ার নিদান দিলেন মন্ত্রী, অনুব্রতর ঢঙেই হুঙ্কার অরূপের
হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়ও বিরোধীদের নিশানা করা হুমকি দিলেন। অনুব্রতর কায়দায় তিনিও হুঙ্কার ছাড়লেন।
এবার অনুব্রত মণ্ডলের ছোঁয়া লাগল সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়ের মুখেও। হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়ও বিরোধীদের নিশানা করা হুমকি দিলেন। অনুব্রতর কায়দায় তিনি হুঙ্কার ছাড়লেন- 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কুৎসা করলে বিরোধীদের হাত ভেঙে দেব।'
রবিবার হাওড়ার একটি জনসভা থেকে অরূপবাবু বলেন, 'আমাদের নেত্রীকে কেউ কুৎসা করলে তাঁকে ছেড়ে কথা বলব না। আমরা তাঁর হাত ভেঙে দেব।' সমবায় মন্ত্রীর কথায়, 'সবাই যে যার মতো রাজনীতি করুক তাতে কোনও ক্ষতি নেই। তাতে আমাদের কোনও আপত্তিও নেই। কেউ কংগ্রেস করবে, কেউ সিপিএম করবে, যে যার ইচ্ছামতো যে কোনও পার্টি করতে পারে। তা বলে কুৎসা কেন হবে?'
কয়েকদিন ধরেই বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল হুঙ্কার ছেড়েই যাচ্ছেন। প্রথমে আবদুল মান্নান, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে দিয়ে শুরু, তারপর বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেসসহ বিরোধীদের কাউকেই ছাড়েননি অনুব্রত। শেষে তিনি কু-কথার বাণ ছাড়ছেন অধীর চৌধুরীকে লক্ষ্য করে।
ক'দিন আগেই অনুব্রত বিরোধীদের চোখ তুলে নেওয়ার হুঙ্কার ছেড়েছিলেন। এবার অরূপ রায় তাঁর সুরে সুর মিলিয়ে বিরোধীদের হাত ভেঙে দেওয়ার বার্তা দিলেন। আপাত শান্ত স্বভাবের এই নেতার মুখে এই কথায় রাজনৈতিক মহলও আশ্চর্য। এর আগে কোনওদিনই তাঁর মুখে হুমকির কথা ধরা পড়েনি। তাহলে কেন তিনি এমন হুঁশিয়ারি দিলেন? এই প্রশ্নই উঠে পড়েছে।
এদিকে রবিবার অনুব্রত ফের হুমকি দেন মাদ্রাসা শিক্ষকদের। মাদ্রাসা শিক্ষকদের সভাতে গিয়েই তিনি হুঁশিয়ারি দেন, 'স্কুল করছেন স্কুল করুন। কিন্তু অনেকে স্কুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কুৎসা করছেন, আমি খবর পাচ্ছি। তৃণমূলের কাজ ভালো না লাগলে চুপ করে থাকুন, কুৎসা করবেন না। স্কুলে আসবেন, ক্লাস করবেন, তারপর বাড়ি চলে যাবেন।' নিদান দেন অনুব্রত।
তিনি একটার পর একটা হুঙ্কার ছেড়েই চলেছেন। এক-একটা দিন এক-একজনকে বেছে নিচ্ছেন আক্রমণের জন্য। সেইসঙ্গে নোংরা কথা বলতেও ছাড়ছেন না। কারও চোখ দেখাচ্ছেন, কখনও বলছেন আন্ডারপ্যান্ট পরিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার কথা। এবার তাঁর এই কু-কথার ছোঁয়া লাগছে অন্যদেরও।