মুকুলের দলত্যাগেও ভীত নন মমতা, দলের মন্ত্রী-বিধায়কদেরও দাঁড় করিয়ে ধমক
জেলা পিছিয়ে পড়ছে, উন্নয়ন হচ্ছে না। কেন বিধায়ক হয়েও লক্ষ্য রাখছে না কেউ। বিডিওদের কাজ করতে দিচ্ছেন না বিধায়করা, এইসব অভিযোগ শুনতে হচ্ছে আমাকে।
জেলাশাসক-পুলিশ সুপারদের দিয়ে শুরু করেছিলেন মমতা। ছাড়লেন না তাঁর দলের বিধায়কদেরও। জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে অনুন্নয়নের জন্য ধমক খেতে হল সবাইকেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়কদের উদ্দেশ্যে তোপ দাগলেন। বললেন, এবার বিডিওদের কাজ করতে দিন বিধায়করা।
শুধু এটুকুতেই থেমে যাননি তিনি। গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাতোকে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রীকে ধমক দিয়ে তিনি বলেন, 'বাড়িতে বসে থাকলে চলবে না। মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে। জনসংযোগ তৈরি করতে হবে। আগে তো চাষ করতে, এখন কী কর। জেলা পিছিয়ে পড়ছে, উন্নয়ন হচ্ছে না। কেন বিধায়ক হয়েও লক্ষ্য রাখছে না কেউ। বিডিওদের কাজ করতে দিচ্ছেন না বিধায়করা, আমাকে এইসব অভিযোগ শুনতে হচ্ছে। আমি এসব বরদাস্ত করব না। এখনও সময় আছে। সাবধান হন।'
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বুঝিয়ে দিয়েছেন, পঞ্চায়েতই লক্ষ্য তাঁর। নির্বাচনের আগে নিজেদের ঘর শক্ত করতে চাইছেন তিনি। কোথাও কোনও খামতি থাকুক চান না মমতা। ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসে জেলার প্রশাসানিক আধিকারিকদের পারফরমেন্স নিয়ে পর্যালোচনা করলেন। তারপর কোথায় কোথায় সমস্যা তা ধরে ধরে খতিয়ান চাইলেন তিনি।
আধিকারিদের দাঁড় করিয়ে যেমন ধমক দিলেন তিনি, ধমক দিতে ছাড়লেন না তাঁর বিধায়কদেরও। মুকুল রায়ের দল ছাড়ার পর, জঙ্গলমহলেও দলে বড়সড় ভাঙন ধরতে পারে, এই আশঙ্কা ছিল। এই অবস্থার মধ্যেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় এসে বিধায়ক-জনপ্রতিনিধিদের ধমক দিতে কসুর করলেন না। সবাই ভেবেছিলেন এবার নরম সুরে কথা বলবেন তিনি। কিন্তু মমতা উন্নয়নের প্রশ্নে কাউকে রেয়াত করলেন না। কড়া ধমক দিলেন বিধায়ক ও জেলার জনপ্রতিনিধিদের।