একুশের ভোটে ’২৬-এর ‘মুখ’ পেয়ে গেল সিপিএম! মীনাক্ষীকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু
একুশের ভোটে ’২৬-এর ‘মুখ’ পেয়ে গেল সিপিএম! মীনাক্ষীকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু
নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারীর হাইভোল্টেজ ভোট-যুদ্ধে তিনি ছিলেন সিপিএমের প্রতিনিধি। দুই দোর্দণ্ডপ্রতাপ রাজনীতিকের লড়াইয়েও তিন হারিয়ে যাননি। বরং হয়ে উঠেছিলেন নন্দীগ্রামের পোস্টার গার্ল। তিনি মীনাক্ষী গোস্বামী। একুশের ভোটে তাঁকে নন্দীগ্রামে প্রার্থী করেছিল সিপিএম। এবার তাঁকে মুখ করেই বাংলায় কামব্যাকের লড়াইয়ে নামতে চায় তারা।
একুশের ভোট-যুদ্ধ দেখিয়ে দিয়েছে, পরবর্তী প্রজন্ম তৈরি
সিপিএমের বিশ্বাস, একুশের ভোট-যুদ্ধে তারা দেখিয়ে দিয়েছে, তাদের পরবর্তী প্রজন্ম তৈরি। তৈই তৃণমূল বা বিজেপি নয়, ফের বামপন্থীদেরই ফিরতে হবে। বামেরাই পারবে বাংলাকে সঙ্ঘবদ্ধ করে এগিয়ে নিয়ে যেতে। আগের সব ভুলভ্রান্তি শুধরে বাংলাকে আলোর পথে ফেরাতে হবে। দূর করতে হবে অন্ধকার।
নন্দীগ্রামের ভোটে লড়াকু মেয়েই তবে লালপার্টির মুখ!
সিপিএম তাইছে নন্দীগ্রামের ভোটে যে লড়াকু মেয়েকে আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে, তাঁকে লালপার্টির মুখ করতে। ইতিমধ্যে সিপিএম প্রাথমিকভাবে সেই প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে সংবাদমাধ্যমের সামনে বসিয়ে সিপিএম শুরু করে দিল সেই কাজ। যদিও মীনাক্ষী বলছেন অন্য কথা।
মীনাক্ষী সিপিএমের অন্যতম মুখ! কী বলছেন তিনি
মীনাক্ষী কি তাহলে সিপিএমের অন্যতম মুখ হয়ে উঠছেন ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে? এই প্রশ্ন শুনে মীনাক্ষী বলেন, তাঁর মুখ হতে আপত্তি রয়েছে। ডিওয়াইএফআইয়ের সাধারণ সম্পাদিকা মীনাক্ষী বলেন, তিনি চান দায়িত্ব পালন করতে। পার্টি যে দায়িত্ব দেবে, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতেই তিনি বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করবেন।
মীনাক্ষীর নাম মুখে মুখে, সিপিএম কামব্যাকের আশায়
নন্দীগ্রামের প্রার্থী হয়েই তিনি বাংলার বুকে নজর কেড়েছেন। সাধারণত হাইভোল্টেজ কেন্দ্র হেভিওয়েটদের লড়াইয়ে তৃতীয় ব্যক্তিরা হারিয়ে যান। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রার্থী মীনাক্ষী সিপিএমের আবিষ্কার হয়ে গিয়েছেন। তাঁর নাম মুখে মুখে ফিরতে শুরু করেছে। সিপিএম আবার কামব্যাকের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে তা্ঁকে ঘিরে।
বীরাঙ্গনার মর্যাদা পেয়েছেন, হয়ে উঠেছেন তারকা প্রচারক
নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়ার আগে নবান্ন অভিযানেও খানিক নজর কেড়েছিলেন মীনাক্ষী। কিন্তু তাঁকে বেশি মাইলেজ দিয়েছে নন্দীগ্রামই। নন্দীগ্রামে লড়াই করে তিনি বীরাঙ্গনার মর্যাদা পেয়ে গিয়েছেন এবং হয়ে উঠেছেন তারকা প্রচারক। তিনিই এখন দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে জনসভা করে বেড়াচ্ছেন। এবং প্রচারক হিসেবে তাঁকে চাইছেন স্থানীয় নেতৃত্ব।
লাল-সাদা সালোয়ার ড্রেসকোড হয়ে গিয়েছে মীনাক্ষীর
মোর্চার যে কোনও সভাতে নন্দীগ্রামের পোস্টার গার্লকে চাইছে নেতৃত্ব। দিনে আটটা থেকে দশটা সভা করতে হচ্ছে তাঁকে। তাঁর বাচনভঙ্গি, শব্দচয়ন মন কেড়ে নিচ্ছে স্থানীয় মানুষের। ধীরে ধীরে ঘরের মেয়ে হয়ে উঠতে শুরু করেছেন মীনাক্ষী। তাঁরা বাংলা ও হিন্দি মেশানো বক্তব্য তো জনপ্রিয় হচ্ছেই, তাঁর লাল-সাদা সালোয়ারের ড্রেসকোড হয়ে উঠেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীলপাড় সাদা শাড়ির মতোই।
লক্ষ্যে স্থির, চাকরি ছেড়ে পার্টির সর্বক্ষণের কর্মী মীনাক্ষী
মীনাক্ষীকে পরিণত করে তোলাই এখন সিপিএমের প্রবীণ নেতাদের উদ্দেশ্য। সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিমের সঙ্গে তিনি আলিমুদ্দিনে সাংবাদিক বৈঠক করেন। বলেন, জয়-পরাজয় বড় কথা নয়। বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে তিনি লড়াই করবেন। তাই তিনি চাকরি ছেড়ে পার্টির সর্বক্ষণের কর্মী হয়েছেন।